ঢাকা শনিবার, মে ১১, ২০২৪
নরসিংদীতে কাজে আসছে না দুইটি সেতু
  • নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৯-২১ ০৩:৫২:৪৭

নরসিংদীতে চলাচলের উপযোগী সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত দুইটি সেতু। সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের ধামের ভাওলা ও শীলমান্দি ইউনিয়নের টেক বাগহাটায় যাতায়াতের জন্য নির্মিত এই সেতু দুটিতে পাকা সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়ক থেকে পাশের মহিষাশুড়া ইউনিয়নের ধামের ভাওলায় যাতায়াতের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সেতুটির দুই প্রান্তে অল্প পরিমাণে মাটি ফেলে নামে মাত্র সরু আকৃতির মাটির সড়ক নির্মাণ করা হলেও এটি কোনও কাজে আসছে না। মদনগঞ্জ সড়ক ও নির্মিত সেতু থেকে কয়েক ফুট নিচুতে নামে মাত্র মাটির সড়কটি ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। সড়কটির এক অংশে বাঁশের সাঁকো, যার উপর দিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এতে বিকল্প কয়েক কিলোমিটার সড়ক ঘুরে এবং বর্ষাকালে নৌকায় মদনগঞ্জ সড়কে আসতে হচ্ছে ধামের ভাওলা গ্রামবাসীকে।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হলে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনে অল্প সময়ে নরসিংদী, মাধবদীসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন সহজতর হবে বলে জানান এলাকাবাসী।

সরজমিন ঘুরে জানা যায়, নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়ক থেকে পার্শ্ববর্তী শীলমান্দি ইউনিয়নের টেকবাগহাটা এলাকায় যাতায়াতের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে আরও একটি সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এই সেতুর দুই পাশের মাটির সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। মাটির সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়াসহ বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়ক থেকে অনেক নিচু হওয়ায় চলাচল করতে পারে না ছোট যানবাহন।

মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, মাটি পরিবহনের ট্রলির কারণে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন এই সড়কে পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারছেন না এলাকাবাসী। এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দুপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ নিশ্চিত করেই সেতু দুটি নির্মাণ ও কাজের বিল প্রদান করা হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক বছরে বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে নতুন প্রকল্পের আওতায় দুটি সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

তীব্র প্রবাহ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য দিনাজপুরে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ
দিনাজপুরে প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
সর্বশেষ সংবাদ