দিনাজপুরে শারদীয় দূর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীর কুমারী পূজায় ৬ বছর বয়সী অনু চক্রবর্তী আরাধ্যা দেবী রুপী অবতরন হয়েছে। সুসজ্জিত চেয়ারে কুমারী মাকে বসিয়ে পুজা অর্চনা করা হয়। পরে পূজায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।
আজ রোববার সকাল ৯.৪৫ ঘটিকায় দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমে এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কুমারী পূজায় কুমারী মাকে দেখতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভীড় জমায়।
এবারে দেবীরুপে ছিলেন অনু চক্রবর্তী আরাধ্যা নামে ৬ বছর বয়সী এক কন্যা। দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার নয়ন চক্রবর্তী ও সবিতা চক্রবর্তী দম্পতির একমাত্র মেয়ে । সে সেতাবগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীমতে, দেবীদূর্গা সকল নারীর মধ্যে মাতৃরুপে আছেন। এই উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দূর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য। নারী জাতিকে সম্মান করার উদ্দেশ্যেই এই কুমারী পুজা করা হয়।
কুমারী পুজায় অংশ গ্রহনকারী সুমনা অধিকারী বলেন, দূর্গাপুজার মহাঅষ্টামীর কুমারী পুজা গুরুত্বপূর্ন। কারন দিনাজপুওে শুরু কুমারী পুজা শুধুমাত্র রামকৃষ্ণ আ¤্রম মন্দিরে এই পুজা হয়ে থাকে। পরিবারের সবাই সাথে নিয়ে এই পুজা দেখাতে এসেছি । কুমারী মাকে দেখার পর বাসনা পুরন হল।
কুমারী পূজায় সংকল্প করেন দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, শত শত ভক্তবৃন্দ এই কুমারী পুজা দেখার জন্য এই আশ্রমে আসেন। বিশেষ নারীরা এই পুজায় বেশি অংশ গ্রহন করেন। কুমারী পুজায় একজন কুমারী মেয়ে দেবী রুপে আমাদের মাঝে আনা হয় । হিন্দুধর্মালম্ভিরা পুজায় বিশেষ কওে নারী সমাজকে মর্যাদা বৃদ্ধির জন্যই এই পুজা অর্চনা করা হয়। প্রতি বছর এই দিনে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে আগমন ঘটে।