শওকত হোসেন সাকিব (১৬), দিনাজপুরের সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে।
সমাজের মাদকদ্রব্য নিয়ে এখন অনেকটাই উদ্দিগ্ন হওয়ায় সমবয়সী ৩০ থেকে ৩৫ জন বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন সাইকেলিং গ্রুপ। সমাজের যুব সমাজকে ধ্বংস কারী মাদকদ্রব্য ও ইভটিজিং এর নীরব প্রতিবাদস্বরূপ সামাজিক আন্দোলন হিসেবে ৩০-৩৫ জনের সাইকেলিং গ্রুপ।
সম্প্রতি সময়ে একাই মাদক ও ইভটিজিং এর নীরব প্রতিবাদস্বরূপ সাইকেল চালিয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে আবার পুনরায় দিনাজপুরে পৌঁছে গিয়েছেন কিশোর শাকিব।
শাকিব দিনাজপুর পৌর এলাকার রামনগরের জুয়েল ইসলামের ছোট ছেলে
শাকিব একাই সাইকেল চালিয়ে গত ২৩ জুলাই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী জেলা হয়ে ১৫টি জেলা অতিক্রম করে আবার দিনাজপুরে ২৫ শে জুলাই তারিখে পৌঁছে যায়।
শাকিব বলেন, তার এই সামাজিক আন্দোলনের উৎসাহ জুগিয়েছেন তার পরিবার এবং তার একমাত্র ভাই তাদের অনুপ্রেরণাতেই এই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
শাকিব বলেন, বয়সে তরুণ হলেও সমাজের বেশ কিছু অবক্ষয় নিয়ে এখন থেকেই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। চোখের সামনেই সমবয়সী অনেক ছেলেরাই মাদকাসক্ত হয়ে লেখাপড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপথগামী হয়ে পড়ছে। তাদেরকে সুপথে ফিরিয়ে আনা এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের এই অবক্ষয়ের থেকে যুবসমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্যই আমার এই ছোট্ট প্রতিবাদ সাইকেলিং।
দিনাজপুর থেকে ঢাকা যেতে আমাকে বেশ কিছু ব্যাক পেতে হয়েছে। এক টানা সাইকেল চালানো অনেকটাই কঠিন কাজ, মাঝেমধ্যে পা ফুলে যেত। আবার ক্লান্ত হয়ে পড়তাম সামান্য কিছু পানি এবং নাস্তা খেয়ে আবার সাইকেল যাওয়ার কাজ সাইকেল চালানোর কাজটি চালিয়ে যেতাম। এভাবেই গত ১০ জুলাই থেকে দিনাজপুর থেকে যাত্রা শুরু করি তিন দিনের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে যাই। আবার ২৩ তারিখে যাত্রা শুরু করে ২৫ তারিখে এই দিনাজপুরে পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমার এই সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে আমাদের দিনাজপুরের সাইকেলিং গ্রুপের সকল সদস্য বন্ধুরা রয়েছে তাদের সাথে প্রতিনিয়ত সমাজের অবক্ষয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সমাজের হানাহানি, দুর্নীতি, অনিয়ম দূর করার জন্যই আমাদের এই নিরব প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।