নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সরকারি সুবিধা ভোগ করে এমন কেউ নির্বাচনের প্রচারে অংশগ্রহণ করলে যে প্রার্থীর প্রচার করবে তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়া হবে।
শনিবার (২৮ এপ্রিল ) বিকেল লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চার জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতা মুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এর বাইরে গেলেই শাস্তি পেতে হবে প্রার্থীর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি- মন্ত্রীরা সংসদীয় আসনে থাকতে পারবেন। যেহেতু তারা ভোট দিবেন সেক্ষেত্রে তাদের তো থাকতে হবে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষেই প্রভাব কিংবা প্রচার প্রচারণায় উপস্থিত থাকতে পারেন না। এক্ষেত্রে কোন প্রার্থী প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে ওই সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে অনেক দলীয় প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে না এ বিষয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কি? এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটি তাদের বিষয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের কিছু করার থাকে। তবে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা স্বাধীন অধিকার। তবে না করলে তাদের ডেকে এনে নির্বাচনে অভিমান করার অধিকার নির্বাচন কমিশনার রাখে না।
এর আগে সকাল দশটা থেকে লালমনিরহাটের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সভা করেন। এসময় সকল উপজেলার প্রার্থীরা অংশ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকসহ জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুব জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ প্রমুখ।