আত্মীয় স্বজন আসতে শুরু করেছে রাতে বিয়ে হবে তাই ধুমধাম করে আয়োজন হচ্ছিলো কনে বাড়িতে। কিন্তু বিয়ের দিন (শনিবার) সকালেই ধর্ষণের শিকার হয় (কনে) তরুণী। লজ্জার খাতিরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি শুরুতে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কনের পরিবার। পরে রাতে জানাজানি হলে বিয়ে ভেঙে যায় (কনের) তরুণীর।
এমন একটি ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে। কনের বাড়ীর লোকজন এমন লজ্জায় বাড়ী থেকে বের হচ্ছে না। আজ সোমবার ভুক্তভুগি পরিবারটি মানবরুপী নরপিচাশ ধর্ষকের দেশের আইনে সব্বোর্চ শাস্তি দাবি করেন ।
এ ঘটনার ভুক্তভোগীর মা গত রোববার দুপুরে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। ওই দিনই ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেন্সি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আব্দুর রহমান বাবলু শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশী তরুণীকে রান্না করে দেওয়ার জন্য তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে বাবলুকে আটক করে। তবে রাতেই ওই তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বলে সারাদিন বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করেন কনের পরিবার। কিন্তু বিষয়টি রাতে জানাজানি হলে বর বিয়ে করতে আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেই তরুনীর বিয়ে ভেঙে যায়।
ভুক্তভোগীর দাদা বলেন, শনিবার রাতে তার নাতনীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল একই গ্রামের রবিউলের সাথে। কিন্তু সকালে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে গেছে।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রামবাসী ধর্ষককে আটক করলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে সে অসুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে পুলিশ বাবলুকে গ্রেফতার করে।
পার্বতীপুর থানার ওসি ইমাম জাফর বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে মামলা দায়ের করেই আদালতে প্রেরন করা হয়েছে ।