লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে অবৈধ পিটানো জাল ব্যবহার করে মাছ ধরার দায়ে ২১ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ।
রোববার (৫ মে) দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মৎস্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বড়খেরী নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফেরদৌস আহম্মদ বাদী হয়ে ১৯৫০ সালের মৎস্য আইনের ৫/(১) ধারায় আটক জেলেদের বির“দ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রুহুল আমিন মাঝি, মো. শরীফ, বজলুর রহমান, মো. ইব্রাহিম, বাবুল হোসেন, মো. রাকিব, মো. ইস্রাফিল, মো. জুয়েল, হুমায়ুন কবীর, জুয়েল হোসেন, আক্তার হোসেন, মো. জামাল, আলী হোসেন, মো. জাহিদ, রুহুল আমিন, জাকির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, মো. হাসান, নুরনবী ও আবুল খায়েরসহ ২১ জন। তারা ভোলার দৌলতখান এলাকার বাসিন্দা।
বড়খেরী নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরায় ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পিটানো জাল ব্যবহারে নদীতে মাছ ধরলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়। এ জাল ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ।
রামগতি উপজেলার চরআবদুল্লাহর পশ্চিমে মেঘনা নদীতে পিটানো জাল ব্যবহার করায় শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যান। রোববার (৫ মে) সকালে ফের অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জেলেদের আটক করা হয়।