নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ: বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহে অগ্রণী ভূমিকা পালন
- নিজস্ব প্রতিবেদক:
-
২০২৪-০৫-১৫ ১০:৪৮:৪৭
- Print
বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যে ব্যাপক ভেজালের প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি হিসেবে এপ্রিল ২০২৪ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে।
ফার্গো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং পরিচালক ও নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ প্রতিষ্ঠানটির ঢাকাস্থ গুলশানের নিকতনের নিজ কার্যালয়ে ১৪ মে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফারগো’র বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। এসব রোগ সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যানসার, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগ, টাইপ–২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদানের কথা বলে। এগুলো হলো হোল গ্রেইন বা শস্য দানা, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট-বেজড অয়েল, ফল ও শাকসবজি ও নিরাপদ পানি। সুপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করাই ফরগোর লক্ষ্য।
নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে শুরু হওয়া আমাদের এই যৌথ প্রতিষ্ঠানকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। আমরা ইউরোপের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করব। বাংলাদেশে এই খাতে আরও বিনিয়োগ আনতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুনভাবে তুলে ধরবে।’
এছাড়া উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বের চল্লিশাধিক দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ কেমিকেল ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের ‘সলিদারিদাদ’ ও সুইজারল্যান্ডের ‘সিনজেনটা ফাউন্ডেশন’ দ্বারা প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এছাড়াও, পিকেএসএফ, ইফাদ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুটকি, মশলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। তারা জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি এবং অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ফার্গো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান যার লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা (Pioneering Healthy Food Delivery Globally)। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১68 টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে এর কর্ধা Pর হামিদুল হক। এর আগে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্মাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।