সবক্ষেত্রেই বেড়েছে নারীর অংশগ্রহণ। পুরুষের সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। তবে এই এগিয়ে যাওয়ার পথ এখনও ততটা মসৃন নয়। বড় প্রতিবন্ধকতা তো বটেই, ছোট ছোট প্রতিবন্ধকতাগুলোও অন্তরায় এই এগিয়ে যাওয়ায়। এমনই এক প্রতিবন্ধকতা শৌচাগার সংকট। পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিনিয়ত যাদের রাস্তায় থাকতে হয়, তাদের জন্য এই সংকট বয়ে আনে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ আর ভোগান্তি । সংশ্লিষ্টদের মত, নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে এ বাধাগুলো দূর করতে পারলেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব।
রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোর মতোই ব্যস্ততা কনস্টেবল শুল্কা বসুর। তার ইশারাতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে রাসেল স্কয়ারের ছুটে চলা গাড়ি।
ঢাকার ব্যস্ততম সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শুক্লার মতো অনেক নারী ট্রাফিক পুলিশকে নিয়মতই দেখা যায়। তবে আট ঘন্টার এই ডিউটিতে ট্রাফিক পুলিশের জন্য নেই শৌচাগারের ব্যবস্থা।
ফলে দায়িত্ব পালনকালে এ বিষয়টি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এ ভোগান্তি পুরুষ ট্রাফিক পুলিশদের চেয়ে নারীদের বেশি।
রাসেল স্কয়ারে ডিউটি থাকলে সেখানকার বাস কাউন্টারের শৌচাগার ব্যবহার করেন সার্জেন্ট নাজিয়া। কিন্তু গণশৌচাগার হওয়ায় সেগুলোর পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর । অনেক সময় ঝামেলা এড়াতে পানিও কম খান নাজিয়া।
শৌচাগারের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে নারী ট্রাফিক পুলিশদের। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।