ঢাকা বুধবার, মে ১, ২০২৪
‘ঝুঁকি নিয়ে কাজটি করতে হয়েছে, চ্যালেঞ্জও ছিলো’
  • নূর আলম, নীলফামারী
  • ২০২৩-০৯-০৬ ০৬:১৮:০১

‘লক্ষ্য ছিলো চোরদের ধরা এবং গরু উদ্ধার করা সেটি করতে পেরেছি। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই কাজটি করতে হয়েছে। বলতে গেলে অনেকটা চ্যালেঞ্জও ছিলো।

এজন্য আমি পুলিশ সুপার স্যার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যারসহ নীলফামারী থানার চারটি আভিযানিক দলের প্রত্যেক সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।
 
বলছিলেন নীলফামারী থানার সদ্য যোগদান কৃত অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তানভিরুল ইসলাম।
 
মঙ্গলবার ভোরে বিশেষ অভিযান চলাকালে গরু চুরির খবর আসলে সংগলশী কাজীরহাট এলাকা থেকে নীলফামারী থানার চারটি আভিযানিক দল চারদিকে ছুটে চলে সাদা পিকআপে নেয়া গরু চোরের দলের সন্ধ্যানে।
 
এক পর্যায়ে রংপুর রুটের দিকে যাওয়া নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্ব যাওয়া টিমটি তারাগঞ্জ এলাকায় সাদা পিকআপটি সনাক্ত করেন তানভিরুল ইসলাম এবং পিকআপটির পিছু নিয়ে ধাওয়া করতে থাকেন। গাড়িটিকে থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়া হলেও চালক তা উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে থাকে।
 
ওসি নিজেই গাড়ি চালিয়ে পিকআপটির পিছু পিছু ছুটতে থাকে। এক পর্যায়ে রংপুর মেডিক্যাল মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, জাহাজ কোম্পানী মোড় হয়ে কুড়িগ্রাম অভিমুখে যাচ্ছিলো গরু চোরের দল। সাতমাথা মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা খেয়ে পিকআপটি উল্টে গেলে আহত হয় চোরেরা। এ অবস্থায়ও পালিয়ে যেতে ধরলে মাধার মোড় নামক স্থানে তিন চোরকে গ্রেফতার করা হয়।
 
গ্রেফতারের চোরেরা হলেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুন্দমালঞ্চ এলাকার মো. বাবুল, মাগুড়া জেলার শ্রীপুর উপজেলার তাড়াউজিয়াল গ্রামের ওয়াসিম খান ও নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার মহেশচন্দ্র পুর এলাকার মো. নাসির। 
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, নিজেই ৬০কিলোমিটার সড়ক গাড়ি চালিয়ে গরু চোরদের ধরতে সক্ষম হই। ঝুঁকি নিয়েই কাজটি করতে হয়েছে। অভিযানের লক্ষ্য ছিলো চোরদের ধরা।
 
তিনি বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যার মোস্তফা মঞ্জুরের নেতৃত্বে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছিলাম। কাজীরহাটে অবস্থানকালে যখন খবর আসলো গরু চুরির তখন আমরা চারদিকে ছুটতে থাকি।
 
ওসি বলেন, যে গরুটি উদ্ধার করেছি তার মালিককে সনাক্ত করা গেছে। আমিনুর রহমান নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া অচিনতলা এলাকায়। গ্রেফতার চোরদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
 
তিনি বলেন, সুযোগ্য পুলিশ সুপার স্যার গোলাম সবুর পিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এই সফলতা এসেছে। একটি গরুও যাতে চুরি না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।

গ্রেফতার চোরদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি। 

জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর  অভিযানে ৩৪ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-০১
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরে শিশু মিরাজ কাজী হত্যা মামলায় দাদা মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
সর্বশেষ সংবাদ