মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন নরসিংদী জেলা জার্নালিস্ট এন্ড রাইটার্স সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক রুপবানীর স্টাফ রিপোর্টার, রাজধানী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধ নাজাত ২৪ নিউজ পোর্টাল এর প্রকাশ সাংবাদিক আর এ লায়ন সরকার। নরসিংদী অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়ল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি ওই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
জানা যায়, ২০২১ সালে আতিক নামে এক বখাটে। ২১জুন ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি তৎকালীন নরসিংদী মডেল থানায় কর্মরত এসআই মুশতাক সঙ্গে ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সাংবাদিক সরকারসহ একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ০৬ ডাকাত শিরোনামে প্রতিবেদন করা হয়।
প্রতিবেদনে পর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা বাজ প্রতারক কবির মুন্সী সাংবাদিক আর এ লায়ন সরকার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত মামলা থেকে আর এ লায়ন সরকারের বড় ছেলে হাসান সরকারকে বাদ দেন। পরবর্তীতে মামলার বাঁদিকে সাক্ষী নিয়ে আসতে আদালত নোটিশ দেন।
উত্ত মামলার সাক্ষী হিসেবে কবির মুন্সির স্ত্রী তার বড় ছেলে আশিক ছোট ছেলে ডাকাতি মামলার আসামি আতিক, আওয়ামী লীগ নেতার বাবুল চৌধুরীকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। কয়েকটি তারিখ গেল তার ছোট ছেলে আতিককে ছাড়া কাউকে আদালতে হাজির করতে পারেননি বাদী কবির মুন্সী।
এদিকে উক্ত মামলার সাক্ষী আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল চৌধুরী আমাদের প্রতিবেদককে বলেন তিনি উক্ত মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং এ মামলাটি যে বিষয় করা হয়েছে সেই ঘটনার সম্বন্ধে তিনি অবগত নয় মামলাটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।
কবির মুন্সির পরিবার সূত্রে জানা যায় আগেও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন এটা তার পেশা এবং সে বহু মহিলার সাথে বিয়ের নাটক সাজিয়ে সর্বনাশ করেছেন। তাই এ মামলাটি মিথ্যা জেনে কবির মুন্সির স্ত্রী ও তার বড় ছেলে আশিক তারা সাক্ষী দিতে আদালতে আসেননি।
বিজ্ঞ আদালত আজ ২৯ এপ্রিল সকল কিছু পর্যালোচনা করে মামলা সত্যতা না পাওয়ায় সাংবাদিককে উক্ত মামলা হতে অব্যাহতি দেন।
মামলার বিষয়ে জানতে সাংবাদিক আর এ লায়ন সরকারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান এ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে সমাজে সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং আমার অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আদালত আমার প্রতি সুবিচার করেছেন, তাই আদালতের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ তবে মিথ্যা মামলাবাজ কবির মুন্সি ও তার ছেলে আতিকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।