এক দিনের ব্যবধানে কাচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ৩ শত টাকা কমে গিয়ে দিনাজপুরে কাচা মরিচের দাম এখন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । কাচা মরিচের দাম কমে যাওয়ায় কাচা মরিচের বিক্রিও কমে গেছে বলে বিক্রেতাদের অভিযোগ।
আজ সোমবার সকাল থেকেই দিনাজপুরে বাহাদুর কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি কাচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে ১৫০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে
গতকাল রবিবারও দিনাজপুরের বাহাদুর বাজারে কাচা মরিচ ৪ শত থেকে সাড়ে ৪ শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। ঈদের আগের দিন থেকে শুরু রবিবার পর্যন্ত বেসামাল অবস্থায় পরেছিল কাচা মরিচের বাজার। জেলার কোথাও কোথাও কাচা মরিচের কেজি ৮ শত থেকে ৯ শত টাকা বিক্রি হয়েছিল।
দিনাজপুর বাহাদুর বাজারের কাচা মরিচ আরতদার মজিবুর রহমান জানান, একদিনের ব্যবধানে কাচা মরিচের বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে । তিনি বলেন , দিনাজপুর কাচা মরিচের বাজারে যদি চাহিদার তুলনায় যোগান একটু কম হলেই কাচা মরিচের বাজার বেড়ে যায় । যোগান কমে গেলেই ক্রেতাদেরও এক কেজির প্রয়োজন হলে তখন ক্রয় করে তিন কেজি এ সব কারনেই প্রতিটি জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যায়।
কাচা মরিচ বিক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, প্রতিদিন বাহাদুর বাজারে খুচরা আমি কাচা মরিচ বিক্রি করি ২০ কেজি করে। আজ কাচা মরিচ বিক্রি করেছিন মাত্র ৫ কেজি । কাচা মরিচ ক্রেতা একে বারেই নেই । যদিও কাচা মরিচ বিক্রি করছি ১২০ টাকা কেজি।
কাচা মরিচ ক্রেতা আমির হামজা বলেন, আমি হাফ কেজি কাচা মরিচ ক্রয় করেছি ৬০ টাকা দিয়ে। গত দিন আগে কাচা মরিচ ক্রয় করতে এসে ক্রয় করিনি। তখন দাম ছিল ৪৫০ টাকা কেজি। আজ কাচা মরিচ ক্রয় করার মত ক্রেতা নেই। দামও কমে গেছে।
দিনাজপুর হিলি স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন ঈদের কারনে ৬ দিন হিলি স্থল বন্দর দিয়ে আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার দুপুরের পর আমদানী রপ্তানী চালু হয়েছে। কয়েকজন আমদানীকারক কাচা মরিচ আমদানী করার জন্য এলজি খোলা হলেও তা বাতিল করেছে। কারন ভারতে বন্যা হওয়ায় ভারতেই এখন কাচা মরিচ ৩ শত টাকা কেজি দওে বিক্রি হচ্ছে।