ঢাকা বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
লভ্যাংশ তুলে নেওয়ার প্রবণতায় বিনিয়োগকারীরা
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-০৭-২৫ ২২:৩৭:৫৩

ফ্লোর প্রাইস চালু হওয়ায় করোনাকালেও কিছু কৌশলী বিনিয়োগকারী নতুন অর্থ ঢেলেছেন পুঁজিবাজারে। বেছে বেছে মৌলভিত্তির কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ করেছেন তারা। করোনাকালেও কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসবের শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই বিক্রি করা শুরু করেছেন সাময়িক লভ্যাংশ পেতে। এতে গত সপ্তাহ পুঁজিবাজার কিছুটা অস্থিরতার মধ্যে সময় অতিবাহিত করে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৌশলী এসব বিনিয়োগকারীর লভ্যাংশ তুলে নেওয়ার প্রবণতায় অন্যান্য খাতের শেয়ারেও প্রভাব পড়ে। ফলে সামগ্রিকভাবে মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সংশোধিত হতে দেখা গেছে। অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন অনেকেই। এতে আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। সপ্তাহ শেষে দেখা গেছে, আগের চেয়ে এর মধ্যে শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ১৩৬টির, কমে ৫২টির, দর অপরিবর্তিত থাকে ১৬৯টির এবং লেনদেন হয়নি তিনটির।

আগের সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধির প্রবণতা বেশি দেখা যায়, যদিও এ সময় কয়েকটি খাতের শেয়ারের দর কিছুটা কমেছে। সংশ্লিষ্টরা এটিকে দর সংশোধন হিসেবেই দেখছেন। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ আগের সপ্তাহের চেয়ে বৃদ্ধি পেলেও কমেছে গুরুত্বপূর্ণ ডিএস৩০ সূচকটি।

গত সপ্তাহেও বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক সবচেয়ে বেশি ছিল ব্যাংক, বিমা, প্রকৌশল ও ওষুধ খাতের শেয়ারের প্রতি। সাধারণ বিমায় বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহে গেইন করেছেন পাঁচ শতাংশ। এছাড়া ভ্রমণ খাতে চার দশমিক এক শতাংশ, আইটি খাতে চার শতাংশ, বস্ত্র খাতে দুই দশমিক দুই শতাংশ ও টেলিকম খাতে ছিল দুই দশমিক আট শতাংশ।

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই বিনিয়োগ কিছুটা তুলে নিচ্ছেন নিরাপদ থাকতে। বাজার এখন ভালো আচরণ দেখাচ্ছে। অতীতে ভালো বাজারই হঠাৎ করে নেতিবাচক হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতায় সতর্ক হওয়া শুরু করেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এজন্য নিজেদের পোর্টফলিওতে থাকা ভালো মানের শেয়ার কিছুটা বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আবার অনেকেই এক খাত থেকে আরেক খাতে বিনিয়োগ সরিয়ে ফেলছেন। এতে সাধারণ বিমা, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতে গত সপ্তাহে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবার বিনিয়োগ কিছুটা কমেছে ব্যাংক ও পেপার খাতে। জানা গেছে, ডিএসইর লেনদেনে গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক দুই শতাংশ অবদান রাখে বিমা খাত। এর পরই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল মৌলভিত্তির মধ্যে ওষুধ, প্রকৌশল, টেলিকম, বস্ত্র, ব্যাংক ও খাদ্য খাতে।

একক কোম্পানি হিসেবে গত সপ্তাহে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ লেনদেন করেছে ডিএসইতে। এছাড়া আলোচিত সময়ে শেয়ারদর বৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, এশিয়ান ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ফোনিক্স ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস, এডিএন টেলিকম, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও মেট্রো স্পিনিং।

অপরদিকে শেয়ারদর হারানোর তালিকায় শীর্ষে ছিল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওয়ান ব্যাংক, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, যমুনা ব্যাংক ও আইবিবিএল মুদারাবা পার্পেচুয়াল বন্ড।

শেয়ারবাজারে দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে তদন্ত কমিটি
এএফসি হেলথের আইপিও অনুমোদন
ওয়ালটনের আইপিও আবেদনকে ঘিরে ব্যাপক সাড়া