ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নে ইয়াসমিন আক্তার হত্যার আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে
  • হাজী জাহিদ, নরসিংদী
  • ২০২৩-০১-১৮ ০০:৫৮:২৫
মাধবদী থানার অন্তর্গত কাঠালিয়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামে ইয়াসমিন আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্বামী সুমন এখনও পলাতক রয়েছে অন্য আসামীসহ কাইকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকার অনেকেই মনে করেন, স্বামী সুমনকে আটক করতে পারলে হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হবে। নিহতের ভাই আবু ছিদ্দিক বাদি হয়ে নরসিংদী কোর্টে সুমনসহ ৪জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করে। সি আর ০৮/২০২৩ মামলা নং সূত্রে জানাযায়, ১নং আসামী পার্শবর্তি ইউনিয়নের কাঠালিয়া দরিকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র সুমন আহমেদ এর সাথে ২৫/০১/২০২০ জানুয়ারি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিবাহ মুসলিম রীতি অনুযায়ী হয়। বিবাহের কিছুদিন পরে স্বামী ১/সুমন আহমেদ ২/পিতা আনোয়ার হোসেন ৩/মরিয়ম বেগম স্বামী আনোয়ার হোসেন ৪/শুভ আহমেদ পিতা আনোয়ার হোসেন তারা মিলিতভাবে প্লান করে ব্যবসার নাম করে ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার আনে। আর কিছুদিন যেতে না যেতেই মাদকাসক্ত সুমন আহমেদ বাড়ি থেকে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা এনে দিতে ইয়াসমিন আক্তার কে চাপ দিতে থাকে বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করায় তার উপরে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন টর্চার করা হতো বলে তার পরিবারের লোকজন জানায়। আবারও ৫ লক্ষ টাকার এনে দিতে অস্বীকার করায় স্বামী সুমন ও তার পরিবারের লোকজন ০৩/০১/২০২৩ অমানসিক নির্যাতন করে মেরে বিছানায় শুয়ে রাখে বলে মামলায় উল্লেখ করেন ও পরিবারের লোকজন জানায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরে এ সকল আসামিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় মাধবদী থানায় অভিযোগ করা হলেও সেই মামলা না হওয়াই নিহতের পরিবারের লোকজন কোটে মামলা করেন এবং সেখান থেকে মামলা অ্যাফেয়ার ভুক্ত করার জন্য মাধবদী থানা কে নির্দেশ করেন আদালত। কিন্তু ৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও মাধবদী থানা মামলা এফেয়ার করেননি এবং কোন আসামি ধরতে পারেননি বলে বাদী আবু সিদ্দিক ও তার পরিবারের লোকজন জানান। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রনি ভূঁইয়ার কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি লাশের শরীরে তেমন কোন আলামত পাইনি যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আমরা লাস্ট পোস্টমটামে পাঠিয়েছি এবং সেখান থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে ঘটনার সত্যতা জানতে পারব, এর আগে কোন কিছু বলতে পারব না তবে আমরা তদন্তে রয়েছি আর আগামীকাল মামলা এফেয়ারভুক্ত করব। মামলা এফ আই আর ও আসামি গ্রেফতার বিষয়ে জানতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান জানান বিষয়টি আমি অবগত নয় খোজ নিয়ে জানাব। ইয়াসমিন আক্তার এর পরিবার অতি দ্রুত মামলা এফ আই আর ভুক্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও অদৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বাদী আবু সিদ্দীক আরো জানিয়েছেন আসামির সুমনের কাকা জাকির, দেলোয়ার, মামা আরিফ আসামিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে লুকিয়ে রেখেছেন তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসা করলে আসামিদের সম্বন্ধে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান।
নাগেশ্বরীতে টিসিবির ৭বস্তা ডাল আটক; ৫০বস্তা চাল চিনি ডাল সিলগালা
লক্ষ্মীপুর মেঘনায় অবৈধ জালে মাছ শিকার, ২১ জেলে আটক
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর অভিযানে ১০ গ্রাম হেরোইন ও ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-০৩
সর্বশেষ সংবাদ