ঢাকা সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি’র বাস্তব অবস্থা আড়াল করে তারেকের কাছে সাংগঠনিক রিপোর্ট পাঠালেন জিল্লুর রহমান
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-১০-২৪ ০৬:১৯:০০
লন্ডনের ভয় দেখিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনঠাসা, স্বেচ্ছাচারিতার পর এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র আহবায়ক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে মিথ্যা সাংগঠনিক রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে সম্মেলন না করেই সম্মেলন হয়ে গেছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন তিনি। জেলায় বিএনপি’র সংগঠনের বাস্তব অবস্থা আড়াল করে দেয়া এই প্রতিবেদনের বিষয়টি জানাজানির পর দলের নেতাকর্মীরা অবাক হয়েছেন। দলের নেতারা জানান,সাংগঠনিক অবস্থা,আন্দোলনে ভূমিকা বিবেচনায় সারা দেশের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি অনেক সুসংহত ছিলো। কিন্তু আহবায়ক কমিটির কর্মকান্ডে গত দু’বছরে এ জেলায় দল ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। উপজেলা-উপজেলায় সংগঠন বিভক্ত হয়ে পড়েছে কয়েক ভাগে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর কোনটাই ঠিক ভাবে পালিত হচ্ছেনা আর এসব কিছুর জন্যে জেলা আহবায়ক জিল্লুর রহমানকে দায়ী করেন দলের নেতাকর্মীরা। তার সাথে কবির আহমেদ ভূইয়া নামে আরেকজন দলে কর্তৃত্ব করেছেন লন্ডন কানেকশনের জোরে। তাদের পদ বানিজ্যের কারনে দলের ত্যাগী নেতারা কোনঠাসা হয়ে পড়েন। অযোগ্য-নিস্ক্রিয়দের পদ দিয়ে সাংগঠনিক শক্তিতে ধ্বস নামানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে দলের নেতাকর্মীদের হতাশা ফেসবুক পোষ্টে আছড়ে পড়ে সময় সময়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি’র সাংগঠনিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌছলেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বরাবরই ফুলফুলা তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন জেলা আহবায়ক জিল্লুর রহমান। গত ১ অক্টোবর জেলা আহবায়ক জিল্লুর রহমান জেলা বিএনপি’র ১৪টি ইউনিটের একটি সাংগঠনিক রিপোর্ট পাঠান। যাতে ২০২০ সালের ১৩ই নভেম্বর গঠিত জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সাংগঠনিক কার্য্যক্রম তুলে ধরা হয়। এতে ৩টি উপজেলা এবং একটি পৌর ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে উপজেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক বিবরনে কসবা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন এবং ৯০ ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সুত্র জানায়-সেখানকার ৫ ইউনিয়ন বায়েক, কাইয়ুমপুর, গেীপিনাথপুর, খাড়েরা এবং মেহারী ইউনিয়নের সম্মেলন হয়নি এখনো। তবে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ফখরুদ্দিন দাবী করেন ১০ইউনিয়নের সম্মেলন করেছেন তারা। আখাউড়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও সেখানে একটি ইউনিয়নেরও সম্মেলন হয়নি। আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক ফিরোজ মিয়া তার ইউনিয়নের সম্মেলন হয়নি বলে জানিয়েছেন। মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক নান্নু মিয়া এবং ধরখার ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক শেখ হুমায়ুর কবির জীবন তাদের ইউনিয়নেও সম্মেলন হয়নি বলে জানান। একইভাবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সম্মেলন হয়েছে বলা হলেও সেখানে একটি ইউনিয়নেরও সম্মেলন হয়নি। উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক লিয়াকত আলী ফরিদ সবকটি ইউনিয়নের সম্মেলন হয়েছে বলে দাবী করেন। তার কাছে এসব ইউনিয়নের সম্মেলনের স্থির বা ভিডিও চিত্র চাইলে দিতে পারবেননা বলে জানান। তবে সদস্য সচিব আবু মুসা তেজখালী ইউনিয়নের সম্মেলন বাকী আছে বলে স্বাকার করেন। তবে এখান থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি আবদুল খালেক জানান, একটি ইউনিয়নেরও সম্মেলন হয়নি। যাদের দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে তারাতো দাড়াতেই পারছেনা। ৯৯ ভাগ নেতাকর্মী আমার সাথে। বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি’র শক্ত একটা ঘাটি ছিলো। এসব করে এখানে দলকে শেষ করে দিয়েছে। জেলায় দলের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখন বাঞ্ছারামপুরে। জেলা বিএনপি’র আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেন-উপজেলা সম্মেলন হয়নি। কিন্তু যেসব উপজেলার কথা বলছেন সেখানকার ইউনিয়ন সম্মেলন হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি না থাকার কারনে উপজেলা সম্মেলন করতে পারছিনা।
শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশীয় পণ্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত: আমির হোসেন আমু
হরতালের সমর্থনে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
ঝালকাঠি-১ আসনে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন মনির, জমবে ভোটের মাঠ
সর্বশেষ সংবাদ