দিনাজপুর বিরামপুরে ঢাকার সাভারে প্রকাশ্যে গত (২০ নভেম্বর) সোহেল হোসেন (৩০) কে হত্যা ঘটনার মুল হোতা হত্যাকারী মানিক মোল্লা (৩৩) কে যৌথ ভাবে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৩।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম গ্রেফতারের সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। আটক হত্যাকারী মানিক মোল্লা রাজবাড়ী জেলা সদরের মুজলিমপুর গ্রামের আহমেদ রাজ্জাকের ছেলে।
দিনাজপুর র্যাব ১৩ কোম্পানী কমান্ডার জানান, সিপিসি-১, র্যাব -৪ ও দিনাজপুর র্যাব-১৩ যৌথ ভাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ক্যাটরাহাট এলাকায় সাড়শি অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী মানিক মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল মানিক মোল্লা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মানিক মোল্লা সরাসরি ধারালো ছড়ি দিয়ে সোহেল হোসেনের পেটে ছুড়িকাঘাত করে পেটের ভুড়িনাড়ি বের করেছে বলেও স্বীকার করেছে। ভিকটিম ও হত্যাকারী পূর্ব পরিচিত। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে।
নিহত সোহেল হোসেন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা বাসিন্দা ও বর্তমানে সাভার রাজাশন এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
উল্লেখ্য যে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০ নভেম্বর ২০২১ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় মানিক মোল্লা ও কয়েকজন পলাতক আসামীরা ভিকটিম সোহেল হোসেন (৩০) কে বাসা হতে ডেকে এনে সাভার মডেল থানাধীন পৌর ৮ নং ওয়ার্ডস্থ ডেলটার মোড় সংলগ্ন একটি গ্যারেজের সামনে পাকা রাস্তার উপর ফেলে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে মানিক মোল্লা এবং অন্যান্য পলাতক আসামীরা ভিকটিম সোহেল হোসেন(৩০) কে জাপটে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাভির নিচে সজোরে আঘাত করে ও পেটের ভুরি ক্ষতবিক্ষত করে এবং ভিকটিমের ভুরি বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম’কে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা মকছেদুল হোসেন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় এক টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার পরপরই আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস্ মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি করে। ফলশ্রুতিতে সিপিসি -১ সাভার র্যাব-৪ আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গ্রেফতারকৃত খুনি মানিক মোল্লাকে র্যাব-৪ সাভার থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।