ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগরে চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে করে ৭টি ভাড়াটিয়া পরিবারের ১৮জন নারী-পুরুষ ও শিশু আটকা পড়েছে। গত শনিবার ভোরে রাধানগরের পশু হাসপাতাল সংলগ্ন মহল্লায় প্রবাসী ছিদ্দিক মিয়ার বাড়ির রাস্তার এক প্রান্তে উঁচু টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয় তারই বড় ভাই নিজাম উদ্দিনের ছেলেরা। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও রাস্তার বেড়া সরানো হয়নি। রাস্তা বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না ছিদ্দিক মিয়ার ভাড়াটিয়া লোকজন। কাজকর্ম করতে পারছেন না শ্রমজীবি মানুষ। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রবাসী ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও তার দুই ভায়ের যৌথ মালিকানা জায়গায় চলাচলের জন্য রাস্তা করা হয়েছে। ২ বছর যাবত আমার ভাড়াটিয়ারা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতেছে। শনিবার ভোর ৬টার দিকে আমার ভাতিজা শেখ রাসেল, শেখ ফয়াসল ও আরেক ভাসুরের স্ত্রী বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ভাড়াটিয়ারা ঘরবন্দি অবস্থায় আছে। আমি বাঁধা দেওয়ায় আমাকে মারধর করতে এসেছে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকে। আমি প্রশাসনকে অবগত করেছি। ছিদ্দিক মিয়ার ভাড়াটিয়া মরিয়ম বেগম বলেন, আমি ৬ মাস যাবত এ বাড়িতে থাকি। এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি। গত শনিবার ভোরে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। সারাদিন ঘর বন্দি অবস্থায় আছি।
বাচ্চাদেরকে নিয়ে খুব অসুবিধায় আছি। সাবেক পৌর কাউন্সিলর জান্নাত হোসেন ঈশান বলেন, রাস্তার বেড়াটি খুলে দেওয়ার জন্য শেখ ফয়ছালকে বলেছিলাম। কিন্ত তারা সম্মত হয়নি। অভিযুক্ত শেখ মোঃ ফয়সাল বলেন, রাস্তাটি আমাদের বাপ-চাচা তিনজনের। ভাড়াটিয়াদের চলাচলের জন্য আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। তাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি বলেন, আকলিমা বেগম আমাকে বিষয়টি অবগত করেছে। বিষয়টি ভূমি সংক্রান্ত এবং রাস্তার বেড়া উচ্ছেদযোগ্য হওয়ায় আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।