দিনাজপুরে মেহেদির রং না শুকাতেই স্থীকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী থানায় আত্মসমর্পন
- সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
-
২০২৩-০২-১৮ ১০:০৯:৫৯
- Print
দিনাজপুরে বিয়ে করার এক মাস না পেরোতেই স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার (২৭) কে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পন করেছে ঘাতক স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩২)।
শুক্রবার ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ঘাতক স্বামী নিজেই কোতোয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
ঘাতক শামীম মনোয়ার এর উদ্ধৃতি দিয়ে দিনাজপুর সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন জানান ঘাতক স্বামী মোঃ মনোয়ার হোসেন অদ্য ১৭ফেব্রয়ারি ভাের ৪টার সময় তার স্ত্রীকে ঘাসিপাড়াস্থ শাহানাজ পারভিন এর ভাড়া বাসার ৪তালায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শোবার ঘড়ে রক্ষিত ওয়ার ড্রপে লাস লুকিয়ে রাখে।এবং একই তারিখ শুক্রবার রাত ১০টায় থানায় এসে আত্মসমর্পন করে।তার দেয়া তথ্য মতে কোতয়ালি থানার ওসি তদন্ত গোলাম মওলা,এস আই বাদল কুমার মন্ডল,এস আই কৃষ্ণ চন্দ্র সহ সংগীয় পুলিশ ঘাসিপাড়ায় তার ভাড়া করা বাসার ৪তালায় শোবার ঘড়ে রাখা ওয়ারড্রপ থেকে তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়না তদন্তের জন্য লাস মর্গে পাঠানো হয়। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারন উদঘাটনে আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সাংবাদিকদের জানান।
স্বামী মোঃ মনোয়ার হোসেন ওরফে মিঠু(৩৩) দিনাজপুর শহরের গুরগোলা এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে।এবং নিহত স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার( ২৭) বীরগঞ্জ কলেজ পাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের বড় মেয়ে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার এর ছোট ভাই মোঃ ইসহাক আলী বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন তার বড় বোন নিহত সুমাইয়া আক্তারের সাথে ঘাতক স্বামী মনোয়ার হোসেনের গত জানুয়ারী মাসের ২০ তারিখে পারিবারিকভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মনোয়ার হোসেনের পূর্বে একজন স্ত্রী ছিল সেটা আমাদের জানা ছিল না।কিন্তু বোনকে বিয়ে দেবার পর জানতে পারি সে নেশা করে এবং বিবাহিত।তাও আমরা মেনে নিয়ে ছিলাম।প্রতারক স্বামীর খপ্পরে পরে আমার বোনকে অকালে এভাবে চলে যেতে হবে তা কখনো ভাবিনি।
নিহত সুমাইয়ার পরিবার থেকে ঘাতক মনোয়ার হোসেনের দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।