এআই সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক টুইন প্রিসিশন ট্রিটমেন্ট (টিপিটি) প্রযুক্তি চালু করতে টুইন হেলথ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এক্সপার্টো লিমিটেড-এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং প্রি-ডায়াবেটিসের মতো রোগ অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব হবে। ২৮ এপ্রিল সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ও এক্সপার্টো লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঈনুল হাকিম ছাড়াও সমিতি ও এক্সপার্টো লিমিটেড- এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অতীতে ডায়াবেটিসকে সারাজীবনের একটি রোগ হিসেবে দেখা হলেও প্রফেসর ডা. রস টেলরের একটি গবেষণা এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে, ডায়াবেটিস রিভার্স করা যেতে পারে, এমনকি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি (রেমিশন) লাভ করাও সম্ভব। ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপ, ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির (রেমিশন) জন্য একসাথে কাজ করছে। তাদের গবেষণা অনুযায়ী ‘কমপক্ষে তিন মাসের জন্য কোনো রোগীর এইচবিএওয়ানসি ৬.৫% (৪৮ মি মোল/মোল-এর নিচে থাকলে এবং এ সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কোনো ওষুধ গ্রহণ না করলে তাদেরকে ডায়াবেটিসমুক্ত বলে বিবেচনা করা যাবে। উল্লেখ্য, এ গবেষণার ফলাফল ২০২২ সালের ৪ জুনে নিউ অরলিন্স, এলএ-তে অনুষ্ঠিত আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের ৮২তম বৈজ্ঞানিক সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এআই সমৃদ্ধ ‘প্রিসিশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যাটফর্ম’টি বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- গ্লুকোজ মনিটর, সেন্সর ঘড়ি, ব্লাড প্রেসার মেশিন, স্মার্ট বডি কম্পোজিশন স্কেল, ল্যাব রিপোর্ট ও রোগীর দৈনিক খাদ্য গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবে।
টুইন প্রিসিশন ট্রিটমেন্ট প্রযুক্তিটি ৪ কোয়ার্টারে বিভক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিপাক প্রক্রিয়াকে নিরাময় করবে। এর মধ্যে রয়েছে রক্তের শর্করা স্বাভাবিক করা, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করা, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বিশেষত, লিভার, কিডনি ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যা দূর করা এবং বিটা সেল আবারও সক্রিয় করার মাধ্যমে ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি করা। প্রযুক্তিটি সহজে ব্যবহারযোগ্য অ্যাপের মাধ্যমে রোগীদেরকে স্বতন্ত্রভাবে নির্দেশনা দিতে সক্ষম। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এটি নিয়মিত মনিটর করবে।