ঢাকা রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ কোর্টে মামলা দায়ের
  • হাজী জাহিদ, নরসিংদী
  • ২০২৩-০২-১৬ ০৮:৩৯:২৫
নরসিংদীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের। নরসিংদী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সি আর মামলা নং ১৪৮৮/২০২২ইং ধারা:৩৯২/৩৪ দ: বি:। সূত্রে জানা যায় সায়মা আক্তার (২৫) পিতা: নুরুল ইসলাম, সাং বিলসরন,থানা,শিবপুর, নরসিংদী সহিত গত পাঁচ বছর আগে মো:জাহাঙ্গীর আলম পিতা:আ: বাছেদ সাং খলাপাড়া,থানা রায়পুরা জেলা নরসিংদীতে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সূত্রে আরো জানা যায় বিবাহর পর হতেই সায়মা আক্তারের বড় ভাই আসামী১। সুমন খন্দকার( ৩০),পিতা: নুরুল ইসলাম ২। আ: রহিম (৫০) পিতা: অজ্ঞাত সহ অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় কৌশলে স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে টাকা দাবি করে জাহাঙ্গীর আলম সাহেপ্রতাব ভূইয়া সিএনজিতে ব্যবসা পরিচালনা করত। এসব কারণে তার স্ত্রীর সাথে মিল না হয় জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী সায়মা আক্তার(২৫) কে বিগত ১০-১০-২০০২ইং তালাক প্রদান করেন। উক্ত ঘটনার সূত্র ধরে ১ নং আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে বিভিন্ন সময় হত্যার পরিকল্পনা করে আসতেছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মামলার বাদী আলম ভুইয়া। উক্ত তালাকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্য অসন্তোষ দেখা দেয়, তালাকটা তার স্ত্রী কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি সে বিভিন্নভাবে তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার পরিবার। উক্ত ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন । এরই সূত্র ধরে সায়মা আক্তার সুকৌসলে তার স্বামী জাহাঙ্গীরকে ফোন নম্বর:০১৭০-৪০৯৬২১০ এই নাম্বারে ফোন দিয়ে যাইতে বললে জাহাঙ্গীর সরল বিশ্বাসে তার স্ত্রীর কাছে যায়।তার শ্বশুরবাড়ি দুইদিন থাকার পর সায়মা আক্তার, (২৫)তার ভাই সুমন খন্দকার (৩০), ও আ: রহিম(৫০) সহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন আসামি মিলে মামলার বাদীর আলমের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম ভুইয়া কে গত:০৭/১১/২০২২ইং৷ রোজ সমবার সময় বিকাল আনুমানিক ৫:৩৫ মি: হতে অনুমানিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় ১,২,৩,নং আসামিরা জাহাঙ্গীর আলমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি রড লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মাথায়,গলায় দুই হাতে বুকে পিঠে দা দিয়ে কোপাইয়া ছুরি দিয়ে গাই মারিয়া রড দিয়া আঘাত করে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক আঘাত করিলে জাহাঙ্গীর আলম মারা যায়। মারা গেলে আসামিরা সুখ কৌশলে গুম করার উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলমের লাশ রায়পুরা থানাধীন মাহমুদা বাদ গ্রামে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোডে জাহাঙ্গীরের লাশ ফেলে চলে যায় রোড এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে বলে জানায় ভিকটিম পরিবার। জাহাঙ্গীর আলম ভুইয়া কে পূর্ব পরিকল্পনার মধ্যামে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া হত্যা করেছে বলে মৃত জাহাঙ্গীরের ছোট্ট ভাই মামলার বাদী আলম ভুইয়া জানান। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তরত অবস্থায় রয়েছে।উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা নিতে তালবাহানা করলে নরসিংদী বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন, মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই আলম ভুইয়া। ঘটনার পর হতে মৃত্যু জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলাতক রয়েছ। উক্ত ঘটনা এলাকার শোকের মাতম চলছে । ভিকটিম সহ এলাকাবাসী এই নিশৃংশ হত্যার কান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক পাশাপাশি ন্যায়বিচার চায় ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের নিকট।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ আসামি খালাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: হাইকোর্ট
সর্বশেষ সংবাদ