দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেনের গোডাউন থেকে বিক্রির সময় ওএমএসের ১৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ক্ষমতাসীনদের দাপটে ওএমএস এর ১৮ বস্তা আটক পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই চাপে আছেন ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিরামপুর পৌর শহরের কলেজ বাজার এলাকা থেকে ওএমএস এর চালের বস্তা উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার চালগুলো জব্দ করেন।
নির্বাহী অফিসার জানান, গত বৃহস্পতিবার সরকার ঘোষিত ৩০ টাকা কেজি দরের ওএমএসের চাল বিতরণের শেষ দিন ছিল। এদিনই ওএমএসের চালের ডিলার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল হোসেনের গোডাউন থেকে ভ্যানে করে ১৪ বস্তা চাল অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চালগুলো উদ্ধার করে। আটকের সময় ভ্যান চালক কার চাল কোথায় থেকে নিয়ে এলেন ,কোথায় নিবে যাবেন এম প্রশ্নের উত্তরে সঠিক তথ্য প্রকাশ করায় বিষয়টি জানাজানি হয়েছে ।
পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পরিমল সরকার ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার জন্যই মুলত চাল বস্তাগুলো জব্দ করেন। এসময় স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে অন্য একটি দোকানে তল্লাশি করে আরও চার বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত ১৮ বস্তা চাল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ( পিআইও) কর্মকর্তার হেফাজতে সরকারি গোডাউনে রাখার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, এসব চাল আমার গোডাউনের নয়। আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল সরকার বলেন, ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে । বিয়ষটি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে । জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেন ডিলারের বির“দ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।