ঢাকা রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
রায়পুরায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আরো এক জনের মৃত্যু, সংঘর্ষে মোট মৃত্যু হয় ৩ জনের
  • হাজী জাহিদ, নরসিংদী
  • ২০২২-১২-০৯ ০৮:৫৪:৪১

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৯ নভেম্বর সকালে দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ২০ দিন পর বাচ্চু হক (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের আগারনগর এলাকায় বোনের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে ঘটনার দিন একই গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে মো. আজগর আলী (৫৫) প্রতিপক্ষদের টেঁটার আঘাতে নিহত হন। এনিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ১৮ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বুধবার উপজেলার চরসুবুদ্ধিতে এক স্বজনের বাড়ি ফেরেন বাচ্চু। বাড়ি ফেরার দুই দিনের মাথায় আজ শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত বাচ্চু হক গজারিয়াকান্দি গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি খালেক সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে গজারিয়াকান্দি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলমের লোকজন বর্তমান ইউপি সদস্য খালেকের সমর্থকদের গ্রাম ছাড়া করে। দীর্ঘদিন গ্রামের বাইরে থাকার পর গত ১৯ নভেম্বর শনিবার ভোরে খালেক সমর্থক কয়েক পরিবার নিয়ে পুণরায় গ্রামে ফেরার চেষ্টা করলে শাহ আলম সমর্থকরা বাঁধা দেয় এতে দুই গ্রুপের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এসময় প্রতিপক্ষদের টেঁটার আঘাতে আজগর আলীর মৃত্যু হয়। এবং আরোও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনার ২০ দিনের মাথায় মারা গেছেন বাচ্চু মিয়া। এনিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে। বর্তমানে হত্যা মামলায় জেলে আছেন শাহ আলম ও তাঁর এক ছেলে।

শ্রীনগর ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষ হলে তার নিজ বাড়িতে এনে জানাজা ও দাফন করা হবে।

রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, বাচ্চু হকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ আসামি খালাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: হাইকোর্ট
সর্বশেষ সংবাদ