ঢাকা সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
গাজীপুরে সাংবাদিক সেজে মহিলা নেত্রীর বাসায় লুটপাট, রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই
  • হাসিব খান, গাজীপুর
  • ২০২২-০৭-২১ ০৭:৫৮:০১
সাংবাদিক সেজে ফুলের তোড়া দিয়ে নারী নেত্রীকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুন্ঠনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় আসামি মোঃ সোহেলকে গত ৬ জুলাই গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসলে তার তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ২০ জুলাই আসামী সাজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি থানার নতুন বাজার এলাকার জিন্নত আলীর ৩৪ বছর বয়সী ছেলে মোঃ সোহেল এবং একই এলাকার মৃত হিরা লালের ২৮ বছর বয়সী ছেলে সাজন। পিবিআই জানায়, গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ সকাল ১১ টা পঞ্চাশ মিনিটের দিকে মামলার বাদি হাজেরা বেগম বাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় তার বাড়ীর গেইটে ৪ জন মাস্ক পড়া লোক ফুলের তোড়াসহ ডাকাডাকি করে। তখন তিনি এগিয়ে এসে গেইট খুলে জিজ্ঞাসা করেন ‘আপনারা কারা, আসামীরা বলেন আমরা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের লোক, করোনা সম্পর্কে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনার সাক্ষাতকার নেওয়ার জন্য এসেছি’। তখন তিনি তাদেরকে বাসায় প্রবেশ করতে দেয়। আসামীরা নারী নেত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে একজন আসামী তার নিকটে থাকা একটি পিস্তল বের করে তাকে ভয় দেখায়। আসামীরা পরে তার হাত পা বেঁধে তার নিকট থেকে আলমারির চাবি নিয়ে আলমারি থেকে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও সাড়ে আট ভরি স্বর্ণ অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে হাজেরা বেগম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি জিএমপি কোনাবাড়ী থানা পুলিশ প্রায় ০৭ মাস তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় এবং তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার মাধ্যমে পিবিআই গাজীপুর জেলায় পরবর্তী তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। অ্যাডিশনাল আইজিপি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার এর সঠিক দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ জাহিদুল হক মামলাটি তদন্ত করেন। পিবিআই এর পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত লুন্ঠনের ঘটনা। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সোহেল এর কোনাবাড়ীতে একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে।। ওয়ার্কশপ ব্যবসার সুবাদে এবং একই এলাকার হওয়ায় সোহেল এবং সাজন উভয়ের মধ্যে পরিচয় ও ঘনিষ্টতা তৈরী হয়। এছাড়াও অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত সহযোগী আসামীদের সাথে সোহেলের ঘনিষ্টতা তৈরী হয়। কোনাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় সকলে একত্রিত হয়ে তারা আড্ডা দিতো। এ মামলার ঘটনার আগের দিন গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সহ সহযোগী আসামীগণ একত্রিত হয়ে কোনাবাড়ীস্থ মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজেরা বেগম এর বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুন্ঠন করার জন্য কিভাবে নেত্রীর বাসায় প্রবেশ করবে তার পরিকল্পনা করে। ঘটনার অল্প কিছুদিন পূর্বে মামলার বাদীনি মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন এবং তিনি করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেহেতু ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানানো এবং সাংবাদিক সেজে সাক্ষাতকার গ্রহণের পরিকল্পনা করে নিকটবর্তী একটি ফুলের দোকান থেকে ফুলের তোড়া কিনে বাদীনির বাসায় যায় এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লুন্ঠিত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার(২০ জুলাই) সোহেল ও সাজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর  অভিযানে ৩৪ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-০১
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরে শিশু মিরাজ কাজী হত্যা মামলায় দাদা মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
সর্বশেষ সংবাদ