বিনিময় চুক্তির ৭০ বছর পর ভুয়া ওয়ারিশ সেজে জমিদখলের পায়তারার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন
- সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
-
২০২২-০৭-০৬ ০৭:১৫:৩০
- Print
দিনাজপুরে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ততকালীন নেহেরু জিন্নাহ বিনিময় চুক্তি মোতাবেক প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট এর সম্মুখে আম - মোক্তার নামা দলিল এটাস্ট্রেশন সম্পাদনের পর তৃতীয় প্রজম্ম পর্যন্ত ভোগ দখলের থাকার পরও সেই জমির মালিকানা দাবি করে জরব দখলের পায়তারা করছে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগি পরিবার ।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে দিনাজপুর জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি পারভেজ আহম্মেদ চৌধুরী পরাগ ও তার পরিবার ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন তাদের পূর্ব পুরুষ ১৯৫২ সালে নেজামউদ্দীন চৌধুরী ও রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ততকালীন সি এস রেকডীয় শরিক উমাচরন চক্রবর্তীও সাথে নাশিশী সম্পত্তি বিনিময় চুক্তি সম্পাদন করেন । সেই থেকে উক্ত সম্পত্তি তৃতীয় প্রজম্ম পর্যন্ত ভাগ ভাটোয়ারা করে ভোগ করে আসছে ।
ঠাকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আম -মোক্তার নামা সিরিয়াল নাম্মার ১ থেকে ৬৬ এ মধ্যে ৩৮, ৩৯ নং সিরিয়ালে সিএস খতিয়ান ১৫৭ এবং ১৫৮ ভুক্তজমিকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ চলছে । ১৫৭ খতিয়ানে অন্তভুক্ত ৪১৩ দাগে ৪১ শতক জমিতে শ্রী শ্রী ভবানী ঠাকুরানীর মন্দির রয়েছে । এছাড়ও সিএস খতিয়ান ১৫৭ ও এসএ খতিয়ান ১৮৩ খতিয়ানও শ্রী শ্রী ভবানী ঠাকুরানীর সম্পত্তি বলে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে মামলা দায়ের করেছে ।
তারা লিখিত বক্তব্যে আরোও বলেন, নিজামুদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম চৌধুরী অপরাপর সম্পত্তি পরিবার পরিজনসহ আজবন্দি খাজনা, খারিজ, বিভিন্ন দলিল হস্তান্তর ও জমি বিক্রয় ও ভোগ দখল করে আসছে । নিজামুদ্দিনের ও রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর ভাগিনা আবু জাকির সিদ্দিকী মানু ৬০/২০২০ একটি সিভিল মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে । ঠাকুরগাঁ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দায়ের করেছেন বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন দিন রয়েছে । নতুনভাবে বিমল মন্টু নামে দুই ব্যক্তি প্রথম যুগ্ন জেলা জজ আজিজুল হক এর আদালতে এর কাছে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন । উভয় পক্ষের কাগজপত্র ও যুক্তি তর্কের ভিত্তিতে আদালত তাদের নিষেধাজ্ঞা না মঞ্জুর করে।
এরপর থেকে আবু জাকির সিদ্দিকী মানু এলাকার ভূমিদস্যু হামিদ মুন্সি, অমল চন্দ্র রায়, বিমল চন্দ্র রায় ,মন্টু চন্দ্র রায় ,গনেশ চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে নতুনভাবে এই জমি দখলের পায়তারা শুরু করেছে । বর্তমানে সেই নালিশি জমিনের পাশে মন্দির ও খড়ের ঘর তৈরী করা ছিল । মন্দির ঘরে থাকার কিছু কৌশলে প্রতিমা ভাঙচুর ও খড়ের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে মিথ্যা হয়রানি মুলকভাবে ১৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় পাঁচজন ব্যাক্তিকে আটক করে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে ।
এই প্রতারক চক্রটি মানুষের জমি দখল ,ছিনতাই এবং জমি দখলকারী হিসেবে লাঠিয়াল বাহিনী গঠন কওে এলঅকাম ত্রাস সৃষ্টি করে রাখছে । এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত-পূর্বক আইনগত আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই সংবাদ সম্মেলনে।