ঢাকা রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
পলাশে মানবাধিকার সভাপতিকে গলাকেটে হত্যার হুমকি
  • নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
  • ২০২২-০১-১২ ০২:৫৬:২৪

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট এন্ড প্রেস সোসাইটির সভাপতি, সাংবাদিক ও পলাশ উপজেলার সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু কে গত ১০/১/২০২২ ইং দুপুর দুইটার সময় উপজেলা চত্বরে দলিল লেখকদের কার্যালয়ে ভূমি সন্ত্রাসী, সকাল সন্ধ্যা সুপার মার্কেটের সাবেক সভাপতি,  ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সম্ভাব্য সভাপতি কাইয়ুম মোল্লা গলা কেটে হত্যা করার হুমকি ধমকি দেন বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন আনু জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনার  পরের দিন গত ১১/১/২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যায় পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং-৪৯৮)। 

সরজমিনে গিয়ে ঘটনার বিবরণে জানাযায় প্রায় ১১ বছর পূর্বে প্রবাসী এনামুল হক কিরন কাইয়ুম মোল্লার মাধ্যমে দলিল দাতা এজাজের নিকট হইতে সকাল সন্ধ্যাসুপার মার্কেট এলাকায় ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিছু দিন পর কিরন তার ক্রয় কৃত উক্ত জমিটি বিক্রি করতে চাইলে কাইয়ুম মোল্লা নিজেই বিক্রয় করে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কিরন মোল্লাকে শর্ত দেন যে, কাইয়ুম মোল্লার নামে ষ্ট্যাম্পে উক্ত জমি বিক্রির বায়নাপত্র লিখে দিতে হবে, যা পরবর্তীতে কাইয়ুম মোল্লা অন্যত্র বিক্রি করে কিরনকে টাকা বুঝিয়ে দিবে। সরল বিশ্বাসে কিরন কোন নগদ টাকা না পেয়ে কাইয়ুম মোল্লার নিকট জমি বিক্রি করবে বলে মৌখিক ১ মাসের মেয়াদে বায়না করা না লিখা সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেন। উক্ত স্ট্যাম্পের এক জন সাক্ষী আনোয়ার হোসেন আনু। কিছু দিন পর কিরন কাইয়ুম মোল্লাকে দ্রুত জমি বিক্রি করে টাকা দিতে বললে কাইয়ুম মোল্লা কিরনকে বলেন আপনার ক্রয় কৃত উক্ত জমির মালিক আপনি নন। তখন কিরনের মাথায় আকাশ ভেঙে পরার মত অবস্থা হয়ে হাউমাউ করে কেদেঁ উঠে বলে আপনি জমি কিনে দিলেন এখন বলেন জমি আমার না। আমার জমি কেন নয় তা জানতে চাইলে কাইয়ুম মোল্লা বলেন, এই জমি এজাজের নয়, এই জমির মালিক এজাজের মা। এজাজের মা আপনার নামে দলিল দিলে আপনি মালিক হবেন, পরে আমি অন্যত্র বিক্রি করে টাকা দেব। তখন কিরন বুঝতে পারে কাইয়ুম মোল্লার মাধ্যমে জমি ক্রয় করে সে প্রতারণার স্বীকার হয়েছে। এ অবস্থায় কাইয়ুম মোল্লা নামে অলিখিত সাদা ষ্ট্যাম্পটি কাইয়ুম মোল্লা নিকট থেকে যায়। পরবর্তীতে কিরন উপায় না পেয়ে আনোয়ার হোসেন আনুর নিকট সব খুলে বলেন। আনুর সরনাপন্ন হলে ঝামেলা না করে আনোয়ার হোসেন আনুর পরামর্শে পুনরায় আবার টাকা দিয়ে এজাজের মায়ের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেন। বিগত বছর গুলিতে কিরনের স্বাক্ষরকৃত ঐ ষ্ট্যাম্পের ব্যপারে কাইয়ুম মোল্লা কারো নিকট কোন অভিযোগ করেনি। এজাজের মায়ের নিকট থেকে পুনরায় ক্রয় করা জমি কিরন অন্যত্র বিক্রি করবে বলেন। এখবর কাইয়ুম মোল্লা জানতে পেরে সুযোগ বুঝে কিরন এর নিকট টাকা পাবে বলে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করলে, কয়েক দিন আগে কিরনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এসময় মানবাধিকার সংগঠন এর সভাপতি হিসেবে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আপোষ মিমাংসা বৈঠক বসবে বলে কথা দিয়ে আনোয়ার হোসেন আনুর জিম্মায় কিরনকে ছাড়িয়ে আনার পর থেকেই কাইয়ুম মোল্লা আনোয়ার হোসেন আনুর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।

গত ১১/১/২০২২ ইং কিরন এজাজের মায়ের নিকট থেকে ক্রয়কৃত জমিটি পরেশ ঘোষ এর নিকট  বিক্রি করার জন্য পলাশ উপজেলার রেজেষ্ট্রি অফিসে যায়। বিক্রেতা কিরন ও ক্রেতা পরেশ ঘোষ উভয়ে নিরাপত্তা ও দলিলে স্বাক্ষীর জন্য আনোয়ার হোসেন আনু, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও সকাল সন্ধ্যা সুপার মার্কেটের সভাপতি মোঃ  জুলহাস মিয়া এবং  ব্যাবসায়ী আজিজুল সহ অনেককে সাথে নিয়ে যায়। উপস্থিত অনেক দলিল লেখক সহ আনোয়ার হোসেন আনুর সাথে থাকা জমির ক্রেতা, বিক্রেতা  সবার সামনেই কাইয়ুম মোল্লা দলিল লেখকদের কার্যালায়ে আনোয়ার হোসেন আনুর গলাকেটে হত্যার হুমকি ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আনুর উপর কাইয়ুম মোল্লা চওড়া হলে উপস্থিত সবার সহায়তায় তিনি অক্ষত আছেন বলে জানান।ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন যারা সবাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। 

কাইয়ুম মোল্লার বিরুদ্ধে জমি বিক্রির নামে আরো অনেক প্রতারণার অভিযোগ করেন সকাল সন্ধ্যা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং নতুন নতুন গড়ে উঠা ঘর বাড়ির মালিকরা। প্রায় ৩০ বছর ধরে কাইয়ুম মোল্লা এ এলাকায় জমির দালাল হিসেবে বেশ পরিচিত। একজনের জমি অন্য জনকে, অন্যজনের জমি আরেক জনকে, পর্চা, নকসা ভুল করে, দলিল করিয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কাইয়ুম মোল্লা। কাইয়ুম মোল্লা অন্য এলাকা থেকে এসে এক সময় মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কালের বিবর্তনে এ এলাকায় খালি পড়ে থাকা বিশাল বিশাল জমির মালিকদের ফরমায়েশ করে মন জয় করে তাদের জমি বিক্রি করার দালালীর দায়িত্ব পালন করে বহু সহজ সরল বিশ্বাসী লোকজনকে জমি ক্রয় করে দেবার নাম করে প্রতারণা করে অনেকেই সর্বশান্ত করেছেন ভূমি সন্ত্রাসী কাইয়ুম মোল্লা। সকাল সন্ধ্যা সুপার মার্কের বাসিন্দা প্রবাসী সাইফুল, আইসক্রিম ফ্যাক্টীরির মালিক মৃত আইয়ুব মিয়া, মোদী দোকানদার কামাল সহ অনেকেই ভুক্তভোগী হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকা বাসী। শেষে সকল সন্ধ্যা সুপার মার্কেটের গন টয়লেট পর্যন্ত বিক্রি করার অভিযোগ করেন এলাকা বাসী।

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ আসামি খালাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: হাইকোর্ট
সর্বশেষ সংবাদ