চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন গ্রাম আদালতে জনগণ যাহাতে হয়রানির শিকার না হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, সমাজের সমস্যাগুলো নির্ধারণ, মানুষের মধ্যে বিশ্বাস, গ্রাম আদালতের উপর আস্থা তৈরি করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী বিচার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রতিকারের স্পষ্ট ভূমিকা ও দায়িত্ব¡ বিষয়ক এক প্রচার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউএনডিপি এর Activating Village Courts in Bangladesh Phase-2, Local Government Division প্রকল্পের আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি চিং কিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে "Clearer Role and Responsibilities of Traditional Justice system & other Redress at District Level বা জেলা পর্যায়ে ঐতিহ্যবাহী বিচার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রতিকারের স্পষ্ট ভূমিকা ও দায়িত্ব¡ বিষয়ক এক প্রচার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহি, ইউএনডিপি এর জেলা ম্যানেজার ঐশ্বর্য চাকমা, ইউএনডিপি (এসআইডি-সিএইচটি) এর চীফ জেন্ডার এন্ড কমিউনিটি কোহেশন ঝুমা দেওয়ান, মানবাধিকার কর্মী টুকু তালুকদার, প্রকল্পের প্রোগ্রামার অফিসার শ্যামল চাকমা সহ বিভিন্ন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, হেডম্যান/কার্বারী এবং প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় তার বক্তব্যে গ্রাম আদালতে জনগণ যেন হয়রানি না হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সমাজে কি কি সমস্যা আছে সেগুলো নির্ধারণ করে সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করা, গ্রাম আদালতের উপর মানুষের আস্থা তৈরি করার উপর আলোকপাত করেন।
বক্তারা বলেন, গ্রামে অনেকগুলো বিষয় থাকে যেগুলো আমলযোগ্য অপরাধ নয়, সেগুলো সমাধানের জন্যই গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালত কোনো রায় দিলে সেটি বাস্তবায়ন করা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব¡ রয়েছে। তবে আদালত বাদ দিয়ে গ্রামের চেয়ারম্যান বিচার সালিশ করে এরকম একটা মানসিকতা চালু রয়েছে। যদি গ্রাম আদালত ভালো ভাবে কাজ করে তাহলে চেয়ারম্যানরা এই সুযোগটা পাবে না বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।