ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
ফুলবাড়ীতে এক সাথে দুটি মাদরাসায় শিক্ষকতা
  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • ২০২১-০৯-২০ ০৭:১৪:১০

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক সাথে দুটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে সব হয়েছে প্রভাব খাঁটিয়ে। টাকা নিয়ে ১২শিক্ষক কে আবারো চাকরি দেয়ার অভিযোগ আছে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস জেলা শিক্ষা অফিসারের।

সরেজমিনে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে একি সাথে দুটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। ঘটনাটি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের পর দাসিয়ার ছড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার হিড়িক পরে। তার ফায়দা নেয় আমিনুল ইসলাম।
অভিযোগ আছে, মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসায় সহঃ মৌলভী শিক্ষক থাকার পাশাপাশি সুপার হিসেবে চাকরী নেয় বিলুপ্ত দাসিয়ার ছড়া শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসায়। নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০জুন ২০১৮সালে জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতে আমিনুল ইসলাম স্বহস্তে লিখিত ইস্তেফা দেন তিনি। তবে গেলো জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে প্রভাব খাটিয়ে আবারো শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ অত্র মাদরাসার সুপার শাহনুর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারা করছেন আমিনুল ইসলাম।

মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবেদ আলী বলেন, আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় চাকরীর বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকরা বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষণার পর থেকে আমিনুল ইসলাম মাদ্রাসা এসে অফিস দখল করে নিজেকে সুপার দাবি করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটানোসহ নিজের স্বাধীনতা মতো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগে আমিনুল ইসলাম ইস্তেফা দেন। প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তিনি মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ও আমাকে হুমকিও দিচ্ছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী ছাড়িনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে আইনি যা করার করতে পারে করুক।

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আব্দুল হাই জানান, আমি আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বরাবর কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম। আমিনুল ইসলাম দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে আছেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় দুই পক্ষের পাঁচটি মামলা আদালতে চলছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম জানান, একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠান চাকরি করতে পারে না এর কোন বিধান নেই। এটা অবৈধ। বিষয়টি মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজেই জানেন এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

সিরাজগঞ্জে নগদ টাকা সহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
নাগেশ্বরীতে টিসিবির ৭বস্তা ডাল আটক; ৫০বস্তা চাল চিনি ডাল সিলগালা
লক্ষ্মীপুর মেঘনায় অবৈধ জালে মাছ শিকার, ২১ জেলে আটক
সর্বশেষ সংবাদ