ঋণ খেলাপিদের ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতো ডিবির হাতে ধরা পড়া চক্রটি। যার মধ্যে দু'জন আউটসোর্স ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। পুলিশ বলছে, এনআইডি সার্ভারে থার্ড পার্টির চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের এমন অবাধ প্রবেশাধিকার, ঝুঁকিতে ফেলছে দশ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্যকে। এতে টনক নড়েছে নির্বাচন কমিশনরেও।
নাম-পরিচয়ের সাথে দশ আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ। হলোগ্রাম, মাইক্রোচিপ আরো কতো কী। কয়েকস্তরের নিরাপত্তা নিয়েই চালু হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড। কিন্তু যে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকছে নাগরিকদের তথ্য তা কতোটা নিরাপদ।
শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের এক অভিযানে ধরা পড়েছে এনআইডি জালিয়াতি চক্র। যার মধ্যে দুজন নির্বাচন কমিশনের আউটসোর্স ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, দুই দালাল আর একজন জালিয়াত গ্রাহক। জিজ্ঞাসাবোদে আসামিরা জানায় মূলত ঋণখেলাপিদের নতুন ঋণ আবেদনের জন্য নতুন পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতো তারা। এবং সেটি আসল হিসাবেই প্রাথমিকভাবে সংরক্ষিত থাকতো সার্ভারে।
এটিকে কারিগরি ত্রুটি মনে করছে পুলিশ। এই ত্রুটি নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডারকে ঝুঁকিতে ফেলছে। এমনকি আরো বড় অপরাধ করে পার পেয়ে যাওযার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন বলছে বিষয়টিকে আমলে নিয়ে কাজ করছেন তারা।
পুলিশের ধারণা এ ধরণের জালিয়াত চক্র আরো আছে। তাদেরই খোঁজে আছেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি কুষ্টিয়াতেও একটি জালিয়াত চক্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।