ঢাকা মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
রোহিঙ্গা সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-০৯-১২ ০৮:১১:০৯

রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান না করা হলে তবে এই সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাম বিন মিনহ এ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোনোও সীমানা নেই তাই এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে গণহত্যার হাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী চেতনায় গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আগ্রহী।’

তিনি আরও বলেন, ‘মায়ানমার আমাদের বন্ধুদেশ, তাই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মায়ানমারের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। মায়ানমার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল। তারা তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতেও সম্মত হয়েছিল এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা সম্মত হয়। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি কেউ মায়ানমারে ফিরে যায়নি এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে লড়াই ও গোলাগুলি চলছে।’

ড. মোমেন বলেন, আমাদের আশঙ্কা, যদি এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এই সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে। যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোনোও সীমানা নেই তাই এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছে না কারণ, তারা সুরক্ষার বিষয়ে তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। আস্থা ঘাটতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা মায়ানমারকে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ আসিয়ান, চিন, রাশিয়া, ভারত বা তাদের পছন্দের অন্যান্য বন্ধুদেশ থেকে অসামরিক ও বেসামরিক পর্যবেক্ষকদের জড়িত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের এআরএফ অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন প্রার্থনা করি যাতে এই অসহায় রোহিঙ্গারা সুরক্ষা এবং মর্যাদায় তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। সেখানে পুনর্বাসিত করতে এবং তাদের সমাজে পুনরায় সংহত করতে পারে। একবার তারা স্বদেশে ফিরে গেলে তারা মায়ানমারের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।’

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ