করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৪ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ কক্সবাজারের সব পর্যটন স্পটসহ সৈকতে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখন প্রতিদিনই ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। সৈকতে প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর কিভাবে সৈকত উন্মুক্ত করা যায় তা ঈদুল আযহার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
দীর্ঘসময় লকডাউন থাকার পর সৈকতে প্রবেশ করতে এখন ভিড় করছেন পর্যটকসহ স্থানীয় দর্শনার্থীরা। কিন্ত প্রতিটি পয়েন্টে প্রবেশ ঠেকাতে কড়া পাহারা বসিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তাই পুলিশি বাঁধার মুখে আগতরা ঝাউবিথী কিংবা বালিয়াড়িতে বসে সৈকত দেখছেন। আবার অনেকে লুকিয়ে নেমে পড়ছেন সৈকতে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৈকতে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের নিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে। আবার অনেকে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসার ইনচার্জ রিপন বড়ুয়া।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানালেন, সৈকত সবার জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়টি ঈদুল আযহার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট। জেলার ব্যবসা সমিতির দাবি, গত চার মাসে হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।