ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
দুর্গাপুরে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-এর সন্তোষ প্রকাশ
  • মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
  • ২০২৩-০৩-১১ ১১:২৩:২৮

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে সন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৬ এ কে এম ফজলুর রহমান। 

১১ মার্চ শনিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার দেবীপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন সহকারি সিনিয়র কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) জহুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা, উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক-ই মোহাম্মাদ মাসুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুবা খাতুন, উজানখলসি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ,  মুনজুর ইসলাম প্রমূখ।

পরিদর্শন কালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৬ এ কে এম ফজলুর রহমান আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত কাজগুলো পরিদর্শন করে পানি, বিদ্যুৎ সুবিধাসহ আশ্রয়ন প্রকল্পে হাঁস মুরগি পালন শাকসবজি উৎপাদন ও ফলের চারা রোপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিটি পরিবার যেন স্বাচ্ছন্দ্বে বসবাস করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও পরিচালক-৬ এ কে এম ফজলুর রহমান বলেন, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সে লক্ষে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ২০ লাখ দুস্থ্য ও দরিদ্র মানুষের জন্য জমিসহ রঙীন ঘরের ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। সকলের প্রচেষ্টায় মুজিব বর্ষের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৬ এ কে এম ফজলুর রহমান।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, দুর্গাপুর উপজেলায় (ক) শ্রেণীর ৩১২টি পরিবারকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ২ শতাংশ জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মান প্রকল্পের মাধ্যমে যেসকল গৃহহীনরা ঘর পেয়েছেন তারা দেশ ও সমাজের উন্নয়নের ধারায় অংশগ্রহণ করবে আগে যাদের বাড়ি ছিলনা অপরের জমিতে থাকতো গাছ তলায় থাকতো অন্যের বাড়িতে থাকতো তাদের সামাজিক পরিচয় ছিলনা। ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয়ে যেতে পারত না অভাবের কারণে অনেক সময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদক সেবন ও চুরি করত। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শিখেছে প্রত্যেকে নিজ বাড়িতে থেকে হাঁস-মুরগি পালন, শাকসবজি চাষসহ পছন্দমত কাজ করতে পারছে । এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে তাদের মাঝে হাঁস-মুরগির বাচ্চা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে এবং পালনের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে । সমবায় অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে তাদেকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী বিধবা স্বামী পরিত্যক্তা নারীরা আশ্রয় পেয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পে তাদেরকে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে তাদের তদঘরীয় অংশবিশেষ হিসেবে আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৬ এ কে এম ফজলুর রহমান মহোদয় পরিদর্শন করেন। দেবীপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন কালে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নির্মিত ঘর পরিদর্শন ও উপকার ভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  উপকারভোগীদের নানা সুবিধা অসুবিধা কথা শোনেন তাদেরকে হাঁস-মুরগি প্রতিপালন শাকসবজি চাষ ও বৃক্ষ রোপনে উৎসাহ দেন। চতুর্থ পর্যায়ের নির্মাণাধীন ঘর দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

দিনাজপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী কাশেমের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ চেয়ারম্যান নির্বাচিত
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভাবে সরাইল ও নাসিরনগরের ভোট সম্পন্ন
সর্বশেষ সংবাদ