রমজানকে কেন্দ্র করে চড়া ডালের বাজার
- হাজী জাহিদ, নরসিংদী
-
২০২৩-০৩-০৪ ০৩:৩৫:১৮
- Print
আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে চড়া হয়ে উঠছে ডাল ও ছোলার বাজার, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম ২-৫ টাকা বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃত ডালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
নরসিংদী ঘোড়াশাল চরসিন্দুর ও পলাশ কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮১ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭৬ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা।
দেশী মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, যা তিন সপ্তাহ আগে ছিল ১১৮ টাকা। ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ২৩১ টাকা কেজি দরে, যা ১৫ দিন আগে ছিল ১২৯ টাকা।
সিটির মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮৮-৮৯ টাকা কেজি দরে, যা ১০ দিন আগে ছিল ৮৬ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ টাকা। ভাঙা মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, যা কয়েকদিন আগে ছিল ৭৬ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৪ টাকা।
খেসারি ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৬৬-৬৭ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজির দাম বেড়েছে ৩-৪ টাকা। রমজান মাসে ছোলার পাশাপাশি খেসারি ডালের চাহিদাও বেড়ে যায়।
এদিকে মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। বেশ কয়েক মাস ধরে একই দামে বেচাকেনা হচ্ছে এটি। অ্যাংকর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৫৭-৫৮ টাকা। কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ টাকা।
ডাবলি বেচাকেনা হচ্ছে ৫৯ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫৬-৫৭ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ২ টাকা।
ঘোড়াশাল ও পলাশের ডাল ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আসন্ন রমজান উপলক্ষে ছোলা ও ডালসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। মিল ও কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে যে দাম বেঁধে দেয়া হচ্ছে সে দামেই এসব পণ্য বিক্রি করছি।’
ঘোড়াশালের এক ব্যবসায়ী জানান, এখানে একটি সিন্ডিকেট আছে, যারা শুধু বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডিও ক্রয় করে। একটি দোকানে যে পরিমাণ পণ্য বেচাকেনা হয়, তার চেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় ডিও। যে কারণে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।