দিনাজপুর খানসামায় রাতের আধাঁরে ভাবকি ইউনিয়নের কুমড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভাঙ্গার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কুমড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের সড়কে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে রাতে তালা ভাঙার প্রতিবাদে ও এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে ফেস্টুন প্রদর্শন করেন তারা।
জানা যায়, গত ২০২০ সালের ১ নভেম্বর ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শি¶ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মন্টু ইসলাম। কিন্তু সেই সময় থেকে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক অব্যহতি প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আসলাম আলী নিজেকে প্রধান হিসেবে দাবি করে। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুই প¶ের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ৬ মাসের জন্য এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান পারভেজকে প্রধান করে ৪ সদস্যের এডহক কমিটি ঘোষণা করে। এই ক্ষমতা বলে তারা আসলাম আলীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব দেয়। আসলাম আলী গত সেপ্টেম্বর মাসে অবসরে যাওয়ার সময় মোকছেদ আলীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব দেয়। তখন থেকেই ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তবে এই এডহক কমিটিকে অবৈধ দাবি করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক অভিভাবক। সেটি এখনও হাইকোর্টে বিচারাধীন।
গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৭টার দিকে খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী, অফিসার ইনচার্জ চিত্তরঞ্জন রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুর“ল হক, এডহক কমিটির সদস্যরাসহ অনেকে মোকছেদ আলীকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করাতে গেট ও কক্ষের তালা ভেঙে ঢুকতে গেলে বাঁধে বিপত্তি। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে দুইজন আহত হয় বলে জানা যায়।
এই ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুর“ল হক বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের বেতনদের জন্য ব্যাংকের কাজ শেষ করে বিলম্ব হওয়ায় প্রতিষ্ঠানে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তবে এইসময়ে আমাদের অগোচরে কে বা কাহারা তালা ভেঙে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, ওসিসহ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত। স্কুলের পরিবেশ স্বাভাবিক ও ক্লাস অব্যাহত রাখতে আমরা সজাগ।