স্কুল কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের জিডি
- ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
-
২০২২-০৮-০৯ ১২:০৬:৩৯
- Print
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিতে না পারায় স্বনামধন্য শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগদায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টির সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের আজ্ঞাবহ সভাপতি মো. কামরুল হাসান সহকারি প্রধান শিক্ষককে বিধি বহির্ভুতভাবে কারিগরি শাখা হতে সম্মানী প্রদানে চেষ্টা করে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন তিনি। গত ২৮ জুলাই এ বিষয়ে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যগণ আপত্তিপূর্বক পূর্বে নেওয়া সিদ্ধান্তটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এত সভাপতি কামরুল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে কার্যবিবরণীর একটি পাতা ছিড়ে নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে।
এছাড়াও ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্নভাবে প্রধান শিক্ষককে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করেত থাকেন। বিদ্যালয়টির স্বার্থে এসব অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কারিগরি শাখায় দায়িত্বরত শিক্ষক কর্মচারিদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত বেতনভাতা স্বাক্ষর না করে আটকে দেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদের মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে চরমভাবে বিঘ্নিত করেছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট বিষয়গুলো উল্লেখ পূর্বক বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগদায়ের করেছেন বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ মোল্যা।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুল হাসান জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি ভিত্তিহীন মনগড়া। প্রথম সভায় সহকারি প্রধান শিক্ষককে কারিগরি শাখা হতে সম্মানী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের প্ররোচনায় রেজুলেশানের পাতা ছিড়েছে কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে আমি থানায় একটি জিডি করেছি।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বোয়ালমারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের দুর্ভাগ্য বিদ্যালয়ের সভাপতি মহোদয় একজন শিক্ষকের গৃহপালিত, আজ্ঞাবহ হাতের পুতুল। তিনি ওই শিক্ষক ও নিজের স্বার্থ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ও শিক্ষার উন্নয়নে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এ ব্যাপারে অচিরেই সচেতন অভিভাবকদের ডেকে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।
এ ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. ছরোয়ার হোসেন জানান, তদন্তের কাজ চলমান।