ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাল সংগ্রহে লক্ষ্য পূরনের আশা চালের মান ভালো হওয়ায় অতিরিক্ত বরাদ্দ
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-০৮-০৬ ১৩:৫৩:২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারী চাল সংগ্রহে এবার লক্ষ্য পূরনের আশা করা হচ্ছে। চালের বাজার চড়া থাকায় গত দু-মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান সফল হয়নি। তবে এবার দাম কমায় মিল মালিকরা চাল সরবরাহে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে সংগ্রহের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৫১ হাজার ৮৯৫ মেট্রিকটন। অতিরিক্ত ২১৭২ মেট্রিকটনসহ সিদ্ধ চালের মোট বরাদ্দ ৪৩ হাজার ২৩ মেট্রিকটন। আর আতপের বরাদ্দ অতিরিক্ত ১৬০৬ মেট্রিকটনসহ ৮হাজার ৬৬২ মেট্রিকটন। এরমধ্যে আশুগঞ্জ উপজেলায় ৩১ হাজার ২২ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত ১৬ই মে থেকে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জেলায়। এসময় ধানের দাম বেশী থাকায় চুক্তিবদ্ধ ২৬৮ জন মিল মালিক ধীরগতিতে চাল সরবরাহ করতে থাকেন। ফলে আড়াই মাসের বেশী সময়ে পুরো জেলায় ৩৫ হাজার ৮১৩ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়। যা মোট লক্ষ্যমাত্রা ৭৪ দশমিক ৪৩ ভাগ। খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা ছিলো এসময়ের মধ্যে ৯০ ভাগ চাল সংগ্রহের। মিল মালিকরা জানিয়েছেন, সরকারী ভাবে চাল আমদানীর খবরে এখানে প্রতিমন ধান ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং চালের ৫০ কেজি বস্তার মুল্য ১’শ টাকা কমেছে। মোটা জাতের ধান প্রতিমন ৯’শ থেকে ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে মোটা ধান থেকে উৎপাদিত চালের খরচ আগের তুলনায় ১/২ টাকা কমে ৩৮-৩৯ টাকায় দাড়িয়েছে। ফলে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহে তারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। এরআগে ২০২০ এবং ২০২১ সালে জেলায় আমন ও বোরো সংগ্রহ অভিযান সফল হয়নি। এদিকে জেলার খাদ্য গুদামের ধারন ক্ষমতা কম হওয়ায় সংগ্রহকৃত চালের মধ্যে ২৬ হাজার ৪৩৪ মেট্রিকটন চাল চট্টগ্রাম বিভাগের ২টি সিএসডিসহ বিভিন্ন জেলার গুদামে পাঠানো হয়েছে। জেলার ১০টি খাদ্য গুদামের ধারন ক্ষমতা ২১ হাজার ৫’শ মেট্রিকটন। জেলার বাইরের গুদামে পাঠানো চালের গুনগত মান ভালো হওয়ায় মিল মালিকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হয়। স্থানীয় খাদ্য অধিদপ্তর আশুগঞ্জের একটি সিদ্ধ অটোমেটিক মিলের জন্যে ৫’শ মেট্রিকটন এবং ৫০টি আতপ মিলের জন্যে ৩৫’শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দের আরো একটি চাহিদাপত্র চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জিয়াউল করিম খান সাজু এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল্লাহ বলেন, গুদামের ধারন ক্ষমতা কম হওয়ায় আশুগঞ্জে আমাদের সরবরাহকৃত চালের মধ্যে ১৭ হাজার ৪’শ মেট্রিকটন চাল চট্টগ্রাম বিভাগের হালিশহর সিএসডি ও দেওয়ানহাট সিএসডিসহ ফেনী,চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন গুদামে পাঠানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে এসব খাদ্য গুদাম পরির্দশন করে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে পাঠানো চাল দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা চালের উৎপাদন মূল্য বেশী। তারপরও এখানকার মিল মালিকরা লোকসান দিয়ে চালের গুনগত মান বজায় রেখে গুদামে চাল সরবরাহ করছেন। জেলা চালকল মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি বাবুল আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া (স্বপন) জানান, আশুগঞ্জের চালের গুণগত মান অন্যান্য জেলার চেয়ে ভালো বলে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার মেট্রিকটন বরাদ্দ দেয়া হয়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাকারিয়া মোস্তফা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি খাদ্য গুদামে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান আছে। জেলায় সংগৃহিত চালের গুণগতমান পাশ্ববর্তী সকল জেলা থেকে ভালো হওয়ার প্রেক্ষিতেই এ জেলায় অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। মিল মালিকরা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরো বৃদ্ধি করার দাবী করেছেন। তাদের দাবী প্রস্তাব আকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
দিনাজপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী কাশেমের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ চেয়ারম্যান নির্বাচিত
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভাবে সরাইল ও নাসিরনগরের ভোট সম্পন্ন
সর্বশেষ সংবাদ