শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে বলে মনে করছে করোনাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তাই ১৮ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কমিটির পক্ষ থেকে রোববার রাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহর সভাপতিত্ব ২২তম সভায় এ বিষয়ে মতামত জানিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনিকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছে। এ জন্য সরকার অর্থও বরাদ্দ করেছে। দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ফ্রন্টলাইনের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে ফোকাস করছে সরকার।
জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাকসিন বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক ধাপে বাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।