ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
জ্বালানি ব্যবসায় তেলেসমাতি, ৫৬ কোটি টাকা লোপাট
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-১১-২৩ ০১:২৯:০৩

জ্বালানি তেলের ব্যবসায় তেলেসমাতি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক লিমিটেডের বেসরকারি পরিচালক মইনুদ্দীন আহমেদ। জরুরি প্রয়োজনের অজুহাতে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ বছরে ৪৪৩টি চেকের মাধ্যমে তুলে নিয়েছেন ৫৬ কোটি টাকা। অথচ প্রথম কয়েক বছর তা টেরই পায়নি রাষ্ট্রীয় করপোরেশন। এমনকি, এই ঘটনা জানার পরও তিনি আছেন বহাল তবিয়তে।

দেশে আমদানি করা জ্বালানির মজুদ ও বিপণনে সরকারের সাথে হাত মিলিয়েই কাজ করছিল স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের এই প্রতিষ্ঠানটি তার ৫৫ বছরের ঐতিহ্য খোয়াতে বসেছে লাগামহীন দুর্নীতির জন্ম দেয়া এক পরিচালকের হাতে।

এই প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি অংশের পরিচালক। সুবিধা নেন নিয়ম মাফিক। লভ্যাংশের  ভাগেও ছাড় দেন না চুল পরিমাণ। কিন্তু, এতেও যেন পোষায় না তার। তাই ২০১১ সাল থেকে শুরু করেন জরুরি প্রয়োজনের নামে একাধিক ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলা।

অনিয়মের আঁচ পেলেও প্রথম তিন বছর একরকম নির্বিকার থাকে কোম্পানির নিজস্ব নিরীক্ষা এবং বিপিসি। পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। দেখা যায়, মাইনুদ্দীন আহমেদ ৭ বছরে তুলে নিয়েছেন ৫৬ কোটি টাকা। যার মাধ্যম ছিল ৪৪৩টি নগদ চেক। চেকগুলো অনুমোদনের জন্য দেন অগ্রিম সমন্বয়ের আশ্বাস। নিজেও সই করেন বেশ কয়েকটিতে। অথচ সেই ক্ষমতা ছিল না তার হাতে। তাই এই দুর্নীতিরকে বৈধ করতে সহায়তা নেন, সে সময়ের মহাব্যবস্থাপক মোহামম্মদ সাহেদের।

জ্বালানি খাতের চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা জানাজানি হয় সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল পর্যন্ত। কিন্তু দোষী মইনুদ্দীন এখনো আছেন বহাল তবিয়তে। দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি মনে করে, এখানে দায় রয়েছে বিপিসিরও। কারণ প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া এমন সাহস করা সম্ভব নয় কারো পক্ষেই।

অভিযুক্ত মইনুদ্দীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সন্ধান মেলেনি বাসায় গিয়েও।

 

১৩ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কুতুবদিয়ার এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন
২৩ নভেম্বর ১০০ স্বঘোষিত মাদক ব্যবসায়ীর রায়
আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েও মানবেতর জীবনযাপন মানুষে-পশুতে একাকার, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি