জলাবদ্ধতা, ভাঙাচুরা রাস্তা আর ড্রেনের নোংরা পানিতে নাকাল রাজধানীর জুরাইনবাসী। বছরের পর বছর ধরে এ সমস্যা চললেও টনক নড়ে না কর্তৃপক্ষের। এলাকার ড্রেন, খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কারসহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চান এলাকাবাসী।
দুচোখ যেদিকে যায় ড্রেনের নোংরা পানি আর ভাঙাচুরা রাস্তাই যেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জুরাইন এলাকার ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী। মরার পরও যেন, দুর্ভোগ থেকে রেহাই নেই!
জুরাইন মেডিকেল রোড, পোকার বাজার, ইউনুছ মাদরাসা, সমিরন নেছা স্কুল, মুসলিমের দোকানের মোড়, মুরাদপুর হাই স্কুল রোডসহ, এলাকার বেশিরভাগ অলিগলি যেন আবর্জনাযুক্ত ছোট কুয়া।
এলাকাবাসীরা জানান, রিকশা বা গাড়ি তো এখানে আসতেই পারে না হেটে গেলেও শরীর ব্যথা করে, কখনো গর্তের মধ্যে পা পড়ে যায়।
এসবের কারণে নীচতলায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের দিন কাটে পানি সেচে। ফলে এলাকার অলিগলি, বাসাবাড়ি সর্বত্র ঝুলছে বাড়ি ভাড়ার সাইনবোর্ড।
জলাবদ্ধতার ফলে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে আর ব্যবসা করার পরিবেশ নেই। যেখানে রাস্তার এই দশা সেখানে কী ব্যবসা থাকে? ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছেন।
এছাড়া অল্প বৃষ্টিতে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায়, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মুসল্লিরাও মসজিদে যেতে পারেন না।
এই অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চাইলেন সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা। আর ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিগগির সংস্কার কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেন।
৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর হোসেন মীরু বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি ড্রেনে মাটি ভর্তি সেটার জন্য আবেদন করেছি। প্রত্যেক ড্রেনের মাটি তুলে ফেলব, এক মাসের সময় চেয়েছি তবে এখনো আমাকে সেই বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিন বলেন, খুব দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে, এখনো টেন্ডার হয়নি। প্রক্রিয়াধীন। নভেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তবে দায়িত্বশীলদের কথার ফুলঝুরি নয়, সমস্যার টেকসই সমাধান চান এলাকাবাসী।