দেশটির নাম জাপান। তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন নতুন সংযোজন ঘটানো-দেশটির জন্য নতুন কিছু না। আমাদের দেশে বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলে চড়তে পছন্দ করে মানুষ। বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলের আদলেই তৈরি হয়েছে চলন্ত স্যুটকেস। স্থানীয়রাই শুধু না জাপানে যারা বেড়াতে যান তাদেরও অন্যতম পছন্দ চলন্ত স্যুটকেস। তবে বিমানবন্দরে এই স্যুটকেসে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায় না।
মোটরচালিত এই বৈদ্যুতিক স্যুটকেস দেখতে প্রায় শিশুদের স্কুটারের মতো। এগুলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। তবে চালককে সে দেশের আইন মানতে হয়।
জাপানের আইন কঠোর। এই আইন মেনেই যে কেউ চলন্ত স্যুটকেস চালাতে পারেন। স্যুটকেস বিক্রেতাদের পুলিশ কর্তৃপক্ষের পক্ষে নির্দেশ দেওয়া আছে, স্যুটকেস বিক্রির আগে ক্রেতাদের জাপানের আইন সম্পর্কে সতর্ক করে দিতে হবে।
এসব স্যুটকেস কত গতিতে চালাতে পারবেন, কোথায় চালাতে পারবেন না; সব আইনে বলা আছে। রাস্তায় চলতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি আর কি কি লাগবে তাও জানিয়ে দেন বিক্রেতা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাপানে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক চীনা নারী। তিনি ওসাকার রাস্তায় এই স্যুটকেস চালিয়েছিলেন ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে। এরপরে জাপানের আইন অনুযায়ী ও পর্যটককে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বুঝতেই পারছেন স্বল্প জনসংখ্যার দেশ জাপানের খালি রাস্তায় মোরটসাইকেলের মতো চলন্ত স্যুটকেস ইচ্ছা মতো যেকোন গতিবেগে চালানো যায় না।