অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি গত ৪ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। কয়েক মাস আগের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় তেল পাম্প বাকিতে তেল দিচ্ছে না। ফলে অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগি সাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে চরমে। সাধারণ রোগিদের বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে মোটা টাকা গুণতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তেলের বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবারো চালু হবে সেবাটি।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার প্রায় সাত লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেয় শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ জন চিকিৎসা নেয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় প্রতিদিনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, রাজশাহী ও ঢাকায় রোগী পরিবহন করতে হয় হাসপাতাল থেকে। কিন্তু তেল বরাদ্দ অভাবে অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে তেলের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা টি বন্ধ রয়েছে। কর্মহীণ সময় কাটাচ্ছেন চালক। এসময় চকৃকীর্তি ইউনিয় দুর্ঘটনায় আহত রোগিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক। কিন্তু সরকারী অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বাইরে থেকে চড়া ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স নিতে হয় জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।
লহলয়মারি গ্রামের রিপন আলী তিনি জানান, তার আমার ফুফু দুর্ঘটনার মাথায় আঘাত হত ভেঙ্গে যায়। রাতে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায়। রোগী হাসপাতালে নিতে অনেক বিলম্ব হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এর অ্যাম্বুলেন্স নিতে হয়েছে।
রোগীর স্বজন খালেদা আক্তার বললেন, শিবগঞ্জ হাসপাতালে এসে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খোঁজ করলে সরকারি আম্বুলান্স পাওয়া যায় পাওয়া যায়নি তিন গুণ বেশি টাকা দিয়ে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে আমাকে রোগী বহন করে রাজশাহী নিয়ে যেতে হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সটির চালক আব্দুল হামিদ বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহনের ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। বিপরীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি তেল ক্রয় বাবদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ পেতে দেরি হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি বন্ধ। স্থানীয়ভাবে অ্যাম্বুলেন্সের আয় দিয়ে জ¦ালানী কেনার অনুমতি না থাকায় সমস্যাটি দেখা দিয়েছে । তেল বাবদ বাকি রয়েছে অনেক টাকা।
অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি বন্ধের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান জানান, তেল পাম্পে টাকা বকেয়া থাকায় তেলপাম্প কোন তেল সরবরাহ করছে না। এদিকে বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে কিন্তু অদ্যাবদি বরাদ্দ মেলেনি। অ্যাম্বুলেন্সের আয়ের টাকা খরচ করার অধিকার না থাকায় তা সম্ভব হয় না। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি চালু করা হবে।