দিনাজপুরের পার্বতীপুরে গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি থেমে গেলেও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো এখনও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। নদী ও ছোট বড় ক্যানেলের উপচে পড়া পানি প্রবেশ করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ভূক্তভোগী ও জন প্রতিনিধিগন এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ছোট রামচন্দ্রপুর, কাশিপুর ও ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়ির আঙ্গিনা ও ঘরের মেঝেতে পানি প্রবেশ করায় পরিবারের লোকজন সম্পূর্ণরূপে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে রয়েছেন। তারা এখন চলাফেরা, রান্নাবান্নার কাজ ঠিকমত করতে পারছেননা। এ পরিস্থিতির কারনে দরিদ্র পরিবারের লোকদের দূর্ভোগ এখন চরমে পৌছেছে। যোগাযোগ করা হলে ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মাহাবুব আলম গ্রামসমুহের লোকজন জলাবদ্ধতার কবলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রেকর্ড পরিমান বৃষ্টির কারনে অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে অনেক মৎসজীবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাঁচা রাস্তাসমুহের মাটি পানির সাথে ভেসে যাওয়ায় খাল খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বস্থ একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
কাশিপুর গ্রামের উজ্জল রায় জানায়, তাদের গ্রামের ভেতর দিয়ে পানির স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় বেশ কিছু মাটি ও টিনের ঘর ধ্বসে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন উজ্জল রায়, আনন্দ রায় ও সায়বর রহমান। রাস্তার উপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাওয়ায় স্কুলগামী ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছেনা।
মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানায়, কৃষি বিভাগের লোকজন এলাকাটিতে জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য কাজ করছেন। উপজেলা ত্রাণ অধিদপ্তরকে মোবাইল ফোনে ক্ষয়ক্ষতির বিষদ বর্ননা করা হয়েছে। তবে এখনও তারা কেউ পরিদর্শনে যাননি।