ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
ভোলা - চরফ্যাশন - দক্ষিন - দঃ আইচা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঠিকাদারের খামখেয়ালির কারনে কাজ বন্ধ, জনদুর্ভোগ
  • মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
  • ২০২৩-০৫-০৩ ০৯:৪৭:৩৪
ভোলা - চরফ্যাশন - দক্ষিন আইচা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঠিকাদারের খামখেয়ালির কারনে কাজ বন্ধ,জনদুর্ভোগে পথচারীরা। ভোলা জেলার একমাত্র চলাচলের ভোলা - চরফ্যাশন - দঃ আইচা মহাসড়কটির ভোলার লালমোহন-কর্তারহাট, বোরহানউদ্দিন - কমরুদ্দিন আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন পথচারীদের গলার কাটায় রূপ নিয়েছে। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সড়ক নির্মাণ কাজ থেমে আছে।মাসের পর মাস রাস্তা উল্টিয়ে রেখে কাজ শেষ না করায় ধুলোর রাজ্যে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। চলাচলের সময় ধন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।নাকে মুখে কাপড়, মাস্ক দিয়ে চলাচল করেও নিস্তার পাচ্ছে না পথচারীরা। বাস, ট্রাক থেকে শুরু করে সকল ধরণের যানবাহন চললেই পুরো সড়ক জুড়ে উড়তে থাকে ধুলো। সড়কের দুই পাশের গাছ পালা ও ঘরবাড়ি ধুলোর কারণে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। এই পথে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারীদের শরীরেও ধুলোর আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। সব মিলিয়ে ভয়ংকর এক রাস্তায় পরিণত হয়েছে লালমোহন থেকে কর্তারহাট ও বোরহানউদ্দদিন - কমরুদ্দিন সড়কটি। পথচারীদের মুখে এখন প্রতিনিয়ত সড়কটি নিয়ে ভৎসনা শোনা যায়। দায়ীত্বশীলদেরও কোন তদারকী নেই সড়কটি নিয়ে। মাঝে মাঝে কিছু পানি দিয়েই দায়ীত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। সওজ নির্বাহী প্রকৌশল সুত্রে জানা গেছে, ভোলার এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি ৮টি প্যাকেজে ৮৪৯ কোটি টাকায় ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠিান কাজ পায়। ভোলার আকতার হোসেনের মালিকানাধীন সাদিয়া আফিয়া সিমি কনস্ট্রাকশন, নবারুন ট্রেডার্স, ওটিবিএল, ওয়েস্টার ও এমএম বিল্ডার্স ৮টি প্যাকেজে কাজ শুরু করে। মোট ৯৪ কিলোমিটার রাস্তার ৭৬ কিলোমিটারের কাজ এর মধ্যে শেষ করেছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এমএম বিল্ডার্সের আওতায় লালমোহন থেকে কর্তারহাট ৯ কিলোমিটার ও বোরহানউদ্দিন থেকে কামরুদ্দিন অংশে ৯ কিলোমিটার মোট ১৮ কিলোমিটার রাস্তা উল্টে রেখে দেয় তারা মাসের পর মাস। ফিনিশিং পিচ, পাথর না দেওয়ায় এই ১৮ কিলোমিটার রাস্তায় এখন ধুলোর সড়কে পরিণত হয়েছে।প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এমএম বিল্ডিার্সের কাজ নিয়ে এই গড়িমসির কারণে বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছেন। একটি সুত্র থেকে জানা যায় এম এম বিল্ডার্সের মালিক চেয়েছিল কাজের রিভাইজ করিয়ে তার পর সে মোতাবেক কাজ করবে। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক কারনে তা তাদের পক্ষ্যে সম্ভব হয়নি।অন্যদিকে এরই মধ্যে মালামালের দাম ও বৃধ্বি পেয়ে উভয় সংকটে পরেছে তারা। অন্য দিকে নবারুন ট্রেডার্স সহ অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার পর পরই তারা কাজ নিয়ম অনুযায়ী প্রায় সম্পন্ন করে ফেলে। তবে ভোলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অঞ্জন রায় জানান, লালমোহন ও বোরহানউদ্দিনের এই অবশিস্ট কাজ নিয়ে আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি।কিন্তু তারা কাজটি নিয়ে গড়িমসি করছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তাদের মেয়াদ রয়েছে। এর মধ্যে অবশ্যই তাদের কাজ শেষ করতে হবে। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তারা পাথর ও পিচ সিলেট থেকে যথাসময়ে না আসায় কাজ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। এম এম বিল্ডার্সের প্রকৌশলী জানা পাথর, পিচ সহ সকল মালামালের মূল্য বৃধ্বি পাওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।কর্তৃপক্ষের নিকট এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। ভোলা সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন খুব শীগ্রই আবার কাজ শুরু হবে এবং নির্ধারিত টাইমের মধ্যেই কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করছি।আর যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করে তাহলে ঠিকাদারের বিরুধ্বে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মাউশির প্রদর্শক ও গবেষণা সহকারি পদের ফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন
পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে ভেঙে গেছে সড়ক, বন্ধ যান চলাচল
পলাশে ঘণ ঘন লোডশেডিং, ৪ হাজার মুরগীর মৃত্যু