গত কয়েকদিন থেকে অব্যহত দাবদাহে হিলির জনজীবন বিপর্যস্ত ও দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে। পুড়ছে রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। স্বস্তি মিলছেনা ঘরে-বাইরে। সর্বত্র গরম আর গরম। কখনো আবার ভ্যাপসা গরম। বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোদের প্রখরতা। ফলে দুপুর হতেই রাস্তা-ঘাটগুলো ফঁাকা হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছে কেটে খাওয়া শ্রমিক, দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের মানুষ।
কথা হয় হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক রেজাউল ইসলামের সাথে তিনি জানান, গত কয়েকদিন থেকেই যে পরিমান গমর পড়েছে তাতে অল্প কাজেই হঁাপিয়ে পড়ছে। তাছাড়া অনেক শ্রমিক আসুস্থ হয়ে পড়ছে।
রিক্সা চালক মতিন জানান, ঈদের আগে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে কিন্তু প্রচন্ড রোদ গরমে মানুষ দিনে বের হয়না। তবে সন্ধ্যার পর একটু যাত্রী সংখ্যা বাড়ে। আয়-রোজগার কমে গেছে অনেকটা। ফলে ঈদের কেনাকাটা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছি।
ছাতনী গ্রামের কৃষক মতিন বলেন, প্রচন্ড রোদে ইরি-বোরো ক্ষেতে সেচের পানি তারাতারি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। এতে খরচও বেশী পড়বে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারি আসাদুজ্জামান জানান, গত দুই দিন থেকে সব্বোর্চ্চ ৩৯.১ ডিগ্রি সেলফিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।