ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
ক্যান্সার আক্রান্ত তানজিলা বাচতে চায়; চিকিৎসার জন্য সাহায্য কামনা
  • মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
  • ২০২৩-০১-৩০ ১১:০৯:১০

মাত্র ১৭ বছর বয়সী মোসাঃ তানজিলা আক্তার। সবে মাত্র সে দাখিল পাস করেছে। স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষা শেষ করে অভাবের সংসারের হাল ধরবেন। তবে তানিজলার সেই স্বপ্নে এখন বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মরণব্যাধী ব্লাড ক্যান্সার। গত এক মাস ধরে ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন তানজিলা। সেখানে কেবল ভর্তিই সে। টাকার অভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা হচ্ছে না তার।

জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার সংলগ্ন ফরাজী বাড়ির মো. নাছিরের মেয়ে তানজিলা আক্তার। তানজিলার বাবা নাছিরও পরপারে পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ৮ বছর আগে। এরপর থেকে ৪ মেয়েকে নিয়ে অভাব-অনটনে তানজিলার মা রোকেয়া বেগম সংসার চালাচ্ছেন। ৪ বোনের মধ্যে তানজিলা তৃতীয়। সে ২০২২ সালে গজারিয়ার স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তার আগের দুইবোনকে স্বজন ও প্রতিবেশিদের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ে দেয়া হয়।

তানজিলার মামা হেলালউদ্দিন বলেন, বিগত প্রায় ৩ মাস ধরে তানজিলা জ্বরসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। এরপর ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট করলে তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। এমনেতেই তানজিলার বাবার মৃত্যুর পর থেকেই তাদের সংসার চলছিল টানাপোড়নে। অভাব-অনটন ছিল তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এরমধ্যে তানজিলার ক্যান্সার ধরা পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তার মা। মেয়েকে নিয়ে গত এক মাস ধরে ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও টাকার অভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করাতে পারছেন না তিনি। কারণ ক্যান্সারের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। উপার্জনহীন পরিবারের এখন চোখের সামনে কেবল করুণ দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই তানজিলার মায়ের।

ক্যান্সার আক্রান্ত তানজিলা আক্তারের মা রোকেয়া বেগম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মানুষের সহযোগিতায়ই কোনো রকমে সংসার চলছে। এরমধ্যে আমার তৃতীয় মেয়ে তানজিলার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি দীর্ঘদিন ধরে। টাকার জন্য তানজিলার চিকিৎসা শুরু করতে পারছি না। আমার এমন কোনো সম্পত্তি নেই যে, তা বিক্রি করে হলেও মেয়ের চিকিৎসা শুরু করবো। এখন মেয়েকে নিয়ে এমন এক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি, মনে হচ্ছে চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় মেয়েটিকে হারিয়ে ফেলবো। ক্ষণে ক্ষণে মাথার মধ্যে কেবল এই কথাটি মনে পড়লে চোখ বেয়ে পানি ঝরতে থাকে। দেশে অনেক মানবিক হৃদয়ের বিত্তবান মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত কয়েকজন মানুষ আমার মেয়ের পাশে দাঁড়ালে হয়তো মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবো। তাই দেশের মানবিক হৃদয়ের বিত্তবান মানুষের কাছে অনুরোধ করছি আর্শীবাদ হয়ে হলেও কেউ যেন অন্তত আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়ান। কারো কোনো সহযোগিতা না পেলে হয়তো চোখের সামনেই মেয়েকে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই মারা যেতে হবে।

তানজিলার চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাতে বা যোগাযোগ করতে পারেন তার মামা হেলাল উদ্দিনের ০১৬২৮৬৬৫৪৮৪ এই নাম্বারে (বিকাশ পার্সোনাল)। অথবা যোগাযোগ করতে পারেন তানজিলার মা রোকেয়া বেগমরে ০১৭৪০৮৩৪১৮১ এই মোবাইল নাম্বারে (বিকাশ পার্সোনাল)। এছাড়া কেউ আগ্রহী হলে সরাসরি ঢাকার মহাখালিতে অবস্থিত জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ৫ম তলার ৭ নম্বর বেডে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

Utilitarianism (পালংবাদ) মূলত কী?
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’