বাঙ্গালীর উৎসব মানেই রঙ। আর সে রঙ আরও গাঢ় করে তোলে মেহেদী রাঙ্গা হাত। দীর্ঘ কারুকার্যময় ডিজাইনে মেহেদী রাঙ্গা হাত উৎসবে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। তাইতো মেহেদী ছাড়া উৎসবের কথা যেন চিন্তাই করা যায় না। আর উদ্যোক্তাবর্গদের ৩ দিনের ২য় মহা-উৎসবে হাতে মেহেদীর রঙ লাগবে না তা কি হয়! বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুরের উদ্যোক্তাবর্গের পরিচালক সম্পা দাস মৌ।
দিনাজপুর ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে দিনাজপুরের উদ্যোক্তাবর্গ-এর আয়োজনে পাটোয়ারী বিজনেস হাউস প্রাইভেট লিমিটেড এর সার্বিক সহযোগিতায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩দিন ব্যাপী উদ্যোক্তাদের দ্বিতীয় মহা-উৎসব উপলক্ষ্যে ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) শহরের কালিতলাস্থ নিমকালি মন্দিরের সামনে দিরা রেস্টুরেন্টে মেহেদী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে দেখা যায় কেউ চেয়ারে, কেউ বা মঞ্চের মেঝেতে বসে মেহেদী আর্টিষ্টরা বিভিন্ন বয়সের উদ্যোক্তাবর্গের হাতে মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা আল্পনা দিয়ে মেহেদীর নকশা এঁকে দিচ্ছেন। এই মেহেদীর রঙে হাত রাঙ্গানোর বিষয়টি উপভোগ করছেন ।
দিনাজপুরের উদ্যোক্তাবর্গের পরিচালক সম্পা দাস মৌ জানান, বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মেহেদী উৎসব। আমাদের হাসি, আনন্দ-উৎসব, উৎসাহ সব কিছুর সঙ্গেই মেহেদী রঙ জড়িত। তিনি জানান, উদ্যোক্তাবর্গের ৩দিনব্যাপী মহা-উৎসব উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী এই মেহেদী উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি আরও জানান, এই মেহেদী উৎসবে উদ্যোক্তাবর্গ গ্রুপের ভলেন্টিয়ার ও আর্টিষ্ট সাবজানা আক্তার মিতু, আর্টিষ্ট মেহেজাবিন খানম অনন্যা, সাদিয়া ইসলাম সুমনা, নওরিন আলম নওশিন, সিফা কাওসার, মাইসা হুমাইরা ইতু, সুমাইয়া নিশাত আনাম ২৩০ জন উদ্যোক্তাবর্গের হাতে মেহেদীর রঙ রাঙিয়ে দেন।