ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
পতাকা বিক্রি করে চলে সংসার
  • মাহতাবুর রহমান, আমতলী, বরগুনা
  • ২০২২-১২-১৫ ০৮:০৫:৪৭

বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেখা যায় অনেকেই বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন, সঙ্গে বিলিয়ে দেন নিখাদ দেশপ্রেম। বিজয়ের মাস উপলক্ষে গত পাঁচ দিন ধরে আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজয় উল্লাসে লাল সবুজের পতাকা বিক্রির জন্য এদিক সেদিক চষে বেড়াচ্ছেন ৬২ বছর বয়সী ফেরিওয়ালা রাজা মিয়া। 

রাজা মিয়ার বাড়ি মাদারীপুর শিবচর উপজেলায়। বাজারে, রাস্তায়, শহরের অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। পেশাগতভাবে তিনি একজন কৃষক। একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বরে এ রকম বিভিন্ন সময় বিক্রি করেন পতাকা। ছোট থেকে বড়, সব আকারের পতাকা আছে তার কাছে। বড় আকারের একটি পতাকা বিক্রি করে ১৫০ থেকে ২ শত টাকা, মাঝারি আকারের একটি পতাকা বিক্রি করেন ১ শত থেকে ১৫০ টাকা, ছোট একটি আকারে পতাকা বিক্রি করেন ৫০ থেকে ১শত টাকা, একেবারে ছোট পতাকা ১০ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করেন। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন অনেকেই। গত ১০ বছর যাবত দেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় পতাকা বিক্রি করে আসছেন রাজা মিয়া।

রাজা মিয়া বলেন, বছরের অন্য সময় জাতীয় পতাকা কেনার প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ থাকে না। ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস ও বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে মানুষ জাতীয় পতাকা কেনে। এ ছাড়া বছরের বিশেষ দিনগুলো উপলক্ষে মানুষ ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত এমনকি যানবাহনে পতাকা লাগায়। তাই এ সময় আমি পতাকা বিক্রি করি। আট জনের সংসারের একমাত্র ভরসা এখন আমি। এ পতাকা বিক্রি করে সংসার ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চলে।

Utilitarianism (পালংবাদ) মূলত কী?
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’