ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
রায়গঞ্জে বাড়ছে কাঁচা ঘাসের চাহিদা
  • নাজমুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ
  • ২০২২-১২-১০ ০৯:৪৯:০৬

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বেড়েছে কাঁচা ঘাসের ব্যাপক চাহিদা। উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে কাঁচা ঘাস বেচা-কেনার জন্য গড়ে উঠেছে ঘাসের বাজার। ফলে সহজেই পাওয়া যায় গরু, মহিষ, ছাগল লালন পালনের এই কাঁচা ঘাস। এদিকে ঘাস বেচাকেনা করে একদিকে যেমন অনেক পরিবার কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছেন  ঠিক তেমনি গরু লালন পালনের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বা চার বছর আগেও এ ঘাসের চাহিদা তেমন ্একটা ছিল না। এখন এর চাহিদা বহুগুণে বেড়ে গেছে। এ ঘাসের চাহিদা বাড়ায় অনেক জমির আইল, পুকুর পাড়, পতিত জমি ও রাস্তার আশপাশে এই ঘাসের চাষ হচ্ছে।

রায়গঞ্জে পৌর সদর সহ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে প্রায় ৫৫ ভাগ লোকজন গরু,মহিষ ও ছাগল পালন করে থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকের বাড়িতে দুই বা তার অধিক বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও ছাগল রয়েছে। আবার কেউ বা গড়ে তুলেছেন ছোট বড় গরুর খামার। এসব খামারের গরু ও ছাগল পালনের জন্য প্রতিদিন অনেক গো-খাদ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে। শুকনা ধানের খড়ের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস গো-খাদ্য হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।  এদিকে গাভীর জন্য কাঁচা ঘাসের ভূমিকা রয়েছে সর্বাঙ্গে।

রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক সালাম ও বয়লারচর গ্রামের সাত্তার জানায়, আমরা দীর্ঘদিন থেকে গরু,ছাগল পালন করে আসছি । ইতিপূর্বে গো-খাদ্যের দাম কম থাকলেও এবার বেড়েছে । খাদ্য ক্রয় করে গরু, ছাগল প্রতিপালন করা আমাদের জন্য দূরহ ব্যাপার। তাই আমরা নিজেদের পতিত জমিতে আলানে-পালানে ঘাসের চাষ করেছি যা দিয়ে সহজেই গরু, ছাগল প্রতিপালন করতে পারি।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ওয়ালি -উল-ইসলাম বলেন, উপজেলায় আগে কাঁচা ঘাসের এত চাহিদা ছিল না। গ্রামের কৃষকরা অন্য কাজের পাশাপাশি গরু, মহিষ ও ছাগল লালন পালন করে অধিক পরিমাণ লাভবান হচ্ছেন। গরু মহিষ ও ছাগল গুলো সুস্থ সবল ও দুধের পরিমাণ বাড়ানোর তাগিদে কাঁচা ঘাসের তুলনা হয় না বলেই প্রতিদিন হাটে বসে ঘাসের বাজার।

Utilitarianism (পালংবাদ) মূলত কী?
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’