ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
শিশুদের হাতে চলছে ইজিবাইক, রাস্তা যেন মরণফাঁদ
  • মাহতাবুর রহমান, আমতলী, বরগুনা
  • ২০২২-১০-২৭ ১০:৪৩:১৫
দেশে যখন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলছে তখনই সড়কগুলোতে শিশুদের হাতে চলছে যানবাহন। যে বয়সে স্কুলে থাকার কথা সে বয়সে ড্রাইভিং এর মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শিশুরা। অবাক করার মতো কথা হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো আমতলীতেও শিশুদের হাতে চলছে ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা সহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন যানবাহন।বরগুনার আমতলীতে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা শহর ও গ্রাম এলাকায় শিশুরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক নিয়ে। যে বয়সে খেলার মাঠে থাকার কথা তাদের সেই বয়সী এখন তারা হয়েছে রাস্তার রাজা। শিশুরা এসব যানবাহনের চালকের দায়িত্বে থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গ্রামীণ সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়ক এখন ইজিবাইকের দখলে। চালকরা কোন নিয়মনীতি না জেনে না মেনে শহরের মধ্যে চালাচ্ছে এসব ইজিবাইক। যেখানে সেখানে তাদের বাইক থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করাচ্ছেন। চলাচলরত অসংখ্য ইজিবাইকের কারনে শহরের মধ্যে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজটের। এছাড়া চালকদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর এবং প্রশিক্ষন প্রাপ্ত না হওয়ায় হরহামেশায় ঘটছে দুর্ঘটনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা ইজিবাইক চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে ১২-১৩ বছরের কম বয়সের কিশোরেরাও রয়েছে। এখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইজিবাইক সড়কে নামানো হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এই সব ইজিবাইক শুধু মাত্র পৌর এলাকায় চালানোর অনুমতি দিলেও তারা যাত্রী নিয়ে মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রী বহন করেছে। এই সব ইজিবাইক চালকদের মধ্যে কেউ কেউ মাঠের কৃষি শ্রমিক অথবা আগে রিকশা/ভ্যান চালাতেন। আবার কেউ কেউ বয়সে কিশোর। এদের শত করা ৮০ জন চালকেই জানেন না কিভাবে রাস্তা ইজিবাইক চালাতে হয়। তারপরও তারা নিয়মিত মহাসড়ক ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের সড়কে ৮ জন করে যাত্রী নিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন ইজিবাইক চালক জানান, তিনি ৪ বছর ধরে ইজিবাইক চালিয়ে ৫ সদস্যের সংসারের জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে হারে প্রতিদিন নতুন নতুন ইজিবাইক রাস্তায় নামছে তাতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তার অভিযোগ নতুন ইজিবাইক চালকেরা আইন কানুন মানে না। কে কত টাকা আয় করবে তারা সেই প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমতলী পৌরসভা শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। অটো, মাহিন্দ্রা, রিক্সা সহ সকল ধরনের যানবাহনে যাতে কোনো শিশুরা কাজ না করে সেই বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। শিশুশ্রম বন্ধে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করলে সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন আমতলী পৌরসভার মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন হঠাৎ করে এগুলো বন্ধ করে দিলে অনেকের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে তাই এগুলো অবৈধ হলেও পর্যায়ক্রমে বন্ধের চিন্তা করছি। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও আমতলী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও কল রিসিভ না করার কারনে তাদের সাথে কথা বলা যায়নি।
সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু হত্যা বন্ধের দাবিতে দিনাজপুরে শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদা
সর্বশেষ সংবাদ