ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, যানবাহন চলাচল শুরু
- মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
-
২০২২-১০-২৫ ১৩:৫৭:৩৪
- Print
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ও গাছের নিচে চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে নিহত হয়েছেন ৪ জন। এসময় বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে উপকূলের মানুষ। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলা থেকে নৌযান চলাচল শুরু করেছে।
নিহতরা হলেন, চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বর্ণ ব্যাবসায়ী মনিরুল ইসলাম (৩০), দৌলতখানের পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বিবি খাদিজা (৮০) ও ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের মফিজল হক (৫০) এবং পানিতে ডুবে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ গ্রামের গৃহবধূ রাবেয়া বেগম (২৫)।
এসময় বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক নারী ও পরুষ। আহতদেরকে বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দৌলতখান থানার ওসি মো. জাকির হোসেন, শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান, লালমোহন থানার ওসি মাহবুবুর রহমান।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, চরফ্যাশনের ঢালচর, চর পাতিলা,চর কুকরী মুকরী, মনুপুরা ও চরনিজাম, কাজির চর, লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ফাতেমাবাদ, চর সৈয়দ, রমাগঞ্জ, কচুয়াখালী, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল, চর জহির উদ্দিন, মাঝের চরসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ঘর বাড়ি বিধস্ত হয়েছে। বহু গাছ পালা ভেগে লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
উপকূলের বাঁধের বাইরের এসকল এলাকা জোয়ারে পানি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।বাতাসে ও গাছের নিছে পরে ভেঙে যাওয়া ঘর মেরামত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। খোলা আকাশের নিচে রাত কেটেছে অনেক পরিবারের।
ঢালচরের ফয়জুন্নেছা (৬০), আছিয়া বেগম (৫০) বলেন, আমরা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম, এখন চলে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনেকটা ভালোর দিকে। তাই পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন ও লালমোহনের দায়ীত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।