নরসিংদী নজরপুর থেকে পুকুরে লেপতোষকে মোড়ানো গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
- হাজী জাহিদ, নরসিংদী
-
২০২২-০৯-৩০ ১১:৪৯:১১
- Print
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে সদর থানা পুলিশ নজরপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আরিফা বেগম ওরফে দিনা (৩২) কালাইগোবিন্দপুর এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আরমান গাজীর স্ত্রী ও সদর উপজেলার আলোকবালী গ্রামের কাজী ওমর ফারুকের মেয়ে। । তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের পিতা কাজী ওমর ফারুকের অভিযোগ, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে স্বামী আরমান গাজী যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে আসছিল। কয়েক দফায় স্বামী আরমানকে দুই লাখ টাকা দেয়া হলেও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই দিনাকে মারধর করতো আরমান গাজী। অত্যচারের কারণে মেয়েকে একাধিকবার আলোকবালীর নিজ বাসায় নিয়েও রেখেছিলেন পিতা ওমর ফারুক।
পরে তিন সন্তানের কথা ভেবে স্ত্রীকে আর মারধর করা হবে না এমন শর্তে দিনাকে ফিরিয়ে নেয় স্বামী আরমান গাজী। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দড়ি দিয়ে বাঁধা ও লেপ তোষক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় গৃববধূ দিনার লাশ উদ্ধার করে। এরপর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি আরমান গাজী ব্যবসায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে সে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। তুচ্ছ সব কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হতো।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, পুকুর থেকে লেপ-তোষক দিয়ে মোড়ানো ও রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাতের কোন এক সময় এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবার থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।