ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
ফরিদপুরে কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে পুলিশের মামলা
  • ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
  • ২০২২-০৯-০৫ ১৩:৪৮:৫৮
ফরিদপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে হামলার ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ ফকির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ সহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা,যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাজরিন রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ভিপি ইউসুফ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিল, মামুনুর রশীদ মামুন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রথম সারির ৩২ জনের নামোল্লেখ সহ আরো চার থেকে পাঁচশো জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা করে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে আহত করা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের কোর্ট চত্বরে বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে প্রথমে পুলিশের বাঁধা ও নেতাকর্মীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টার পর পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের হামলায় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন সহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কমপক্ষে ৩০ জন গুরুতর আহত হন বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় শহিদুল ইসলাম বাবুলকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অনেকেই এখন হাসপাতালে ও বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদেরই আসামি করে এ মামলা করেছে পুলিশ। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, রবিবার বিকেলে আদালত চত্বরের সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট ছুড়ে মারেন। এতে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় এ মামলা রুজু করা হয়েছে। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, রবিবার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে যাঁদের সনাক্ত করা গেছে, মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়েছে। ভিডিওতে যাঁদের চেনা সম্ভব হয়নি, তাঁদের পরিচয় খোঁজা হচ্ছে। তবে সোমবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রবিবার বিকেলে বিনা উস্কানিতে পুলিশ প্রথমে আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। তারা আমাদের দিকে বন্দুক তাক করে সমাবেশ ভন্ডুণ ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। এরপর পুলিশের প্রশ্রয়েই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হামলা করে আহত করেছে। যা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সকলে জেনেছেন ও দেখেছেন। এখন তারাই উল্টো আহতদের আসামী করে মামলা করেছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, পুলিশ এখন আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ভূমিকায় নেই। তারা সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা বাহিনী হয়ে উঠেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের পিটিয়েছে। এই পেটোয়া বাহিনী তাদের রক্ষার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি নেতা ঈসা বলেন, আমাদের আন্দোলনতো পুলিশের বিরুদ্ধে না বরং সরকারের বিরুদ্ধে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য কমানো, পাচার হয়ে যাওয়া টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণের দাবির সমর্থনে এ আন্দোলন করছি আমরা। হামলা-মামলা দিয়ে জনগণের দাবি আদায়ের এ আন্দোলন দমন করা যাবে না।
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর  অভিযানে ৩৪ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-০১
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরে শিশু মিরাজ কাজী হত্যা মামলায় দাদা মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
সর্বশেষ সংবাদ